নিশ্চিত হারের ক্ষণ গুনছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। টেল-এন্ডারদের সামনে কেবল রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে হারের ব্যবধান কমানোর মতো পরিস্থিতি ছিল। তবে এমন অবস্থায়ও চট্টগ্রাম ভক্তদের মনে কিছুটা হলেও সম্ভাবনার আশা উঁকি দিয়েছিল রোমারিও শেফার্ডের তাণ্ডবে। মাত্র ২১ বলেই যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অলরাউন্ডার ফিফটি করেছেন। যদিও শেষ পর্যন্ত রংপুরের বড় সংগ্রহ ছুঁতে পারেননি তিনি। চট্টগ্রাম হেরে গেছে ১৮ রানে।
ঘরের মাঠ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নিজেদের টানা দ্বিতীয় হার দেখল চট্টগ্রাম। যা সবমিলিয়ে শুভাগত হোমদের টানা তৃতীয় পরাজয়। এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের সেমিফাইনালে ওঠার কাজটা কঠিন হয়ে গেল। ১০ ম্যাচে পাঁচ জয় নিয়ে তাদের পয়েন্ট ১০, নেট রানরেটে তারা বেশ পিছিয়ে। অন্যদিকে, টানা সপ্তম জয় নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করল সাকিব-সোহানদের দল রংপুর।
রংপুরের দেওয়া ১৮৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটাই নড়বড়ে ছিল চট্টগ্রামের। প্রতিপক্ষ পেসার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের ডেলিভারি বুঝে ওঠার আগেই তাকে ক্যাচ দিয়ে বসেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার জস ব্রাউন। দলীয় মাত্র ৫ রানেই ভাঙে স্বাগতিকদের উদ্বোধনী জুটি। অল্প সময়ের ব্যবধানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সৈকত আলি (৭ বলে ৯) ও তানজিদ হাসান তামিমও (১৬ বলে ১৩)। দুজনকেই প্রিটোরিয়াস ফিরিয়েছেন। ৩২ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চট্টগ্রাম।
এরপর শুভাগত ও টম ব্রুস অনেক্ষণ ক্রিজে থাকলেও, সেভাবে হাত খুলে খেলতে পারেননি। ব্রুস ২৪ (২৪ বল) এবং শুভাগত ২১ রান (১৯ বল) করেন। ৭৮ রানে যখন বন্দরনগরীর দলটি ৫ উইকেট হারায়, তখন ৪৯ বলে তাদের আরও ১১০ রানের দরকার ছিল। ফলে জয়ের ভাবনা কঠিনই ছিল তাদের জন্য। তবে সেখান থেকে ঝড় তোলেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার শেফার্ড। মাঝে জিয়াউর রহমান সমান বলে ১৫ করে আউট হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত শেফার্ড একপ্রান্তে ঝড় তুললে, হারের ব্যবধান অনেকটাই কমে আসে।
৬৬ রানে অপরাজিত ছিলেন শেফার্ড। মাত্র ৩০ বলের ইনিংসে তিনি ৫টি চার ও ৬টি ছয় হাঁকিয়েছেন। নির্ধারিত ওভার শেষে চট্টগ্রাম ৬ উইকেটে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি শিকার করেছেন প্রিটোরিয়াস, শেখ মেহেদী দুটি এবং হাসান মাহমুদ এক উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান তোলে রংপুর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন সাকিব। ৩৯ বলের ইনিংসটি তিনি ৫টি চার ও ৩টি ছয় দিয়ে সাজিয়েছেন। এছাড়া রনি তালুকদার ১৯ বলে ২৫ এবং শেষদিকে ৪টি ছয়ে ১৭ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন শেখ মেহেদী।