১১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমেছে সবজির দাম, বেড়েছে মাংসের দাম

সপ্তাহের ব্যবধানে এখন কিছুটা কমেছে সবজির দাম। তবে বেড়ে চলেছে গরুর মাংসের দাম ও ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।। এছাড়া বাজারে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন দেখা গেছে চিত্র।

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের শিম, মুলা, শালগম প্রতি কেজি ও এবং ফুলকপি ও বাঁধাকপি এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার মধ্যে। যা গত সপ্তাহ থেকে প্রকারভেদে ১০-২০ টাকা কম। এর মধ্যে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি আকারভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। লাউয়ের দামও প্রায় ১২০ টাকা থেকে কমে নেমেছে ১০০ টাকার নিচে নেমেছে।

যাত্রাবাড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা কামরুল হাসান বলেন, এখন বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো। এ কারণে সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দীর্ঘদিন পরে সবজির দাম নিম্নমুখী।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা ও গাজর ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার এসব বাজারে বেগুনের কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকায়, খিরা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতিটি ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

লাল শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। পুরোনো দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি, যা গত সপ্তাহে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

এসব বাজারে সোনালি, সোনালি হাইব্রিড মুরগির দামও বেড়েছে। বাজারগুলোতে সোনালি ৩০০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। হাঁসের ডিমের হালি ২০০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। ভোটের আগে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা পর্যন্ত নামলেও ভোটের পর তা ৭০০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। কিন্তু গত এক সপ্তাহে আরও দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা।

গরুর মাংসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা বলেন, রোজা ও কোরবানি সামনে রেখে খামারিরা গরু বিক্রি কমিয়েছেন। সেজন্য বাজারে সরবরাহ কম, দাম বাড়ছে।

রূপস নামের এক ক্রেতা বলেন, অনেকে দামের কারণে গরুর মাংস কেনা ছেড়ে দিয়েছিলেন। মাঝখানে দাম কমানোয় ক্রেতা বেড়েছিল। এখন আবার দাম বাড়া শুরু করেছে। রমজান মাসে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। রমজান শুরু হলে এর দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে কে জানে।

মাছের বাজারে দাম উঠানামার মাঝেই চলছে। ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজি ৯০০ টাকা, চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, মাগুর ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকায়, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার টাকা, মেনি ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, বেলে ৭০০ টাকা এবং কাইকলা বা কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কমেছে সবজির দাম, বেড়েছে মাংসের দাম

আপডেট : ০৭:৩৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সপ্তাহের ব্যবধানে এখন কিছুটা কমেছে সবজির দাম। তবে বেড়ে চলেছে গরুর মাংসের দাম ও ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।। এছাড়া বাজারে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন দেখা গেছে চিত্র।

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের শিম, মুলা, শালগম প্রতি কেজি ও এবং ফুলকপি ও বাঁধাকপি এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার মধ্যে। যা গত সপ্তাহ থেকে প্রকারভেদে ১০-২০ টাকা কম। এর মধ্যে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি আকারভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। লাউয়ের দামও প্রায় ১২০ টাকা থেকে কমে নেমেছে ১০০ টাকার নিচে নেমেছে।

যাত্রাবাড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা কামরুল হাসান বলেন, এখন বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো। এ কারণে সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দীর্ঘদিন পরে সবজির দাম নিম্নমুখী।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা ও গাজর ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার এসব বাজারে বেগুনের কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকায়, খিরা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতিটি ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

লাল শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। পুরোনো দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি, যা গত সপ্তাহে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

এসব বাজারে সোনালি, সোনালি হাইব্রিড মুরগির দামও বেড়েছে। বাজারগুলোতে সোনালি ৩০০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। হাঁসের ডিমের হালি ২০০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। ভোটের আগে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা পর্যন্ত নামলেও ভোটের পর তা ৭০০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। কিন্তু গত এক সপ্তাহে আরও দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা।

গরুর মাংসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা বলেন, রোজা ও কোরবানি সামনে রেখে খামারিরা গরু বিক্রি কমিয়েছেন। সেজন্য বাজারে সরবরাহ কম, দাম বাড়ছে।

রূপস নামের এক ক্রেতা বলেন, অনেকে দামের কারণে গরুর মাংস কেনা ছেড়ে দিয়েছিলেন। মাঝখানে দাম কমানোয় ক্রেতা বেড়েছিল। এখন আবার দাম বাড়া শুরু করেছে। রমজান মাসে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। রমজান শুরু হলে এর দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে কে জানে।

মাছের বাজারে দাম উঠানামার মাঝেই চলছে। ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজি ৯০০ টাকা, চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, মাগুর ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকায়, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার টাকা, মেনি ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, বেলে ৭০০ টাকা এবং কাইকলা বা কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।