‘এ দেশে যে কেউ যা তা করবে, সেটা হতে দেওয়া যায় না’
- আপডেট সময় : ০২:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৪০৯ বার পড়া হয়েছে
আবারও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ করতে হয়েছে। এটা বীরের দেশ, এই বীরের দেশে যে কেউ যা তা করবে, সেটা হতে দেওয়া যায় না। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশকে যে ভাগ করা হয়েছিল, তা ঠিক ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম আলতাফ হোসেন।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে গণফোরাম আয়োজিত ‘একুশের উত্তরাধিকার এবং আজকের উপলব্ধি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলতাফ হোসেন বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের যে ধারা, সেই ধারায় আমরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। ইতোমধ্যে আমাদের হাজার হাজার কর্মী মৃত্যুবরণ করেছে। অনেকে আহত হয়েছেন, বিভিন্নভাবে নিহত হয়েছেন। সবারই একটা আশা ছিল এই দেশ স্বাধীনভাবে সুন্দরভাবে চলবে। কারণ আমরা যুদ্ধ করে কেউ পৈতৃক সম্পত্তি পাইনি। শ্বশুরের সম্পত্তিও পাইনি।। আমরা শুধুমাত্র যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। এটা বীরের দেশ। এই বীরের দেশে যে কেউ যা তা করবে, সেটা হতে দেওয়া যায় না।
তিনি বলেন, আজ ড. কামাল হোসেন স্যারকে সামনে রেখে বলতে চাই। আপনার এই কথা আমাদের মনে থাকবে, অসুস্থ মাকে সুস্থ করার জন্য মাঠে থাকতে হবে। আমরা এখন যারা গণফোরাম করি, তারা সবাই মাঠে থাকব এ প্রতিজ্ঞা আপনাকে দিতে পারে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, রাষ্ট্রভাষা হিসেবে আমরা রক্তের বিনিময়ে যেটা প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, তার একটা ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই দিনটির মর্যাদা রক্ষা করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ভাষা আন্দোলনের মধ্যে যে শক্তি ছিল, সেটাকে বজায় রাখতে আমরা সবাই চেষ্টা করে যাব। ঐক্য আর শক্তির মধ্য দিয়েই এই মর্যাদা ধরে রাখা সম্ভব হবে।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বায়ান্নতে একদল দামাল ছেলেরা বুকের রক্ত দিয়ে লড়াইয়ের সূচনা করেছিলেন। পাকিস্তানে ভোটাধিকার ছিল না, ভোটে জয়ী হলেও রাষ্ট্রক্ষমতা দেওয়া হয়নি, সে কারণেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ করতে হয়েছিল। কিন্তু আজকে নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ নির্বাচন হচ্ছে, হাজার হাজার মানুষকে জেলে রাখা হচ্ছে।