ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কিংবদন্তি অলরাউন্ডার মাইক প্রক্টর মারা গেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪০৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি অলরাউন্ডার মাইক প্রক্টর মারা গেছেন। গতকাল শনিবার ৭৭ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। আইসিসি জানাচ্ছে, প্রক্টরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর স্ত্রী মারিয়ানা।

দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন প্রক্টর। সার্জারির পর গত কয়েকদিন ধরে তাঁকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। সেখানেই মারা যান প্রক্টর।

প্রক্টরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার দীর্ঘ ছিল না। বর্ণবাদের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকাকে যখন ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হয়, এর আগে ১৯৬৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মাত্র ৭টি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন এ অলরাউন্ডার। এরপর আর খেলার সুযোগ মেলেনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। তবুও টেস্টে সেরাদের কাতারে রাখা হয় প্রক্টরকে।

খেলোয়াড় হিসেবে সাত টেস্টের প্রতিটিই খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণে খ্যাতি ছিল তাঁর। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা ওই সাত টেস্টে ১৫ গড়ে ৪১ উইকেট নিয়েছেন প্রক্টর। এছাড়া ব্যাট হাতে ১০ ইনিংসে করেছেন ২২৬ রান। ওই সাত ম্যাচের একটিতেও হারেনি প্রোটিয়ারা। ছয় জয়ের বিপরীতে বাকি ম্যাচটি ড্র হয়েছিল।

প্রক্টর মূলত তাঁর বোলিং অ্যাকশনের কারণে আলাদা করে পরিচিত ছিলেন। ব্যাটিংয়ে ছিলেন মারকুটে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪০১ ম্যাচ খেলা এ প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের নামের পাশে ২১ হাজার ৯৩৬ রান ও ১ হাজার ৪১৭ উইকেট।

দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পর ১৯৯১ সালে কোচ হিসেবে ফেরেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনের মতো ড্রেসিং রুম সামলাতেও দক্ষ ছিলেন তিনি। তাঁর অধীনে ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আইসিসির ম্যাচ রেফারির ভূমিকাও পালন করেছেন প্রক্টর।

নিউজটি শেয়ার করুন

কিংবদন্তি অলরাউন্ডার মাইক প্রক্টর মারা গেছেন

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি অলরাউন্ডার মাইক প্রক্টর মারা গেছেন। গতকাল শনিবার ৭৭ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। আইসিসি জানাচ্ছে, প্রক্টরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর স্ত্রী মারিয়ানা।

দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন প্রক্টর। সার্জারির পর গত কয়েকদিন ধরে তাঁকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। সেখানেই মারা যান প্রক্টর।

প্রক্টরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার দীর্ঘ ছিল না। বর্ণবাদের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকাকে যখন ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হয়, এর আগে ১৯৬৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মাত্র ৭টি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন এ অলরাউন্ডার। এরপর আর খেলার সুযোগ মেলেনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। তবুও টেস্টে সেরাদের কাতারে রাখা হয় প্রক্টরকে।

খেলোয়াড় হিসেবে সাত টেস্টের প্রতিটিই খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণে খ্যাতি ছিল তাঁর। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা ওই সাত টেস্টে ১৫ গড়ে ৪১ উইকেট নিয়েছেন প্রক্টর। এছাড়া ব্যাট হাতে ১০ ইনিংসে করেছেন ২২৬ রান। ওই সাত ম্যাচের একটিতেও হারেনি প্রোটিয়ারা। ছয় জয়ের বিপরীতে বাকি ম্যাচটি ড্র হয়েছিল।

প্রক্টর মূলত তাঁর বোলিং অ্যাকশনের কারণে আলাদা করে পরিচিত ছিলেন। ব্যাটিংয়ে ছিলেন মারকুটে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪০১ ম্যাচ খেলা এ প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের নামের পাশে ২১ হাজার ৯৩৬ রান ও ১ হাজার ৪১৭ উইকেট।

দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পর ১৯৯১ সালে কোচ হিসেবে ফেরেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনের মতো ড্রেসিং রুম সামলাতেও দক্ষ ছিলেন তিনি। তাঁর অধীনে ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আইসিসির ম্যাচ রেফারির ভূমিকাও পালন করেছেন প্রক্টর।