ঢাকা ০১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাড়ি ফিরেছেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা পুলিশ হাসপাতাল থেকে ব্যাংককে তার নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। থাকসিন ১৫ বছরের স্বেচ্ছানির্বাচন শেষে দেশে ফেরার ঠিক ছয় মাস পর রোববার দুই মেয়ে পেতংটার্ন এবং পিন্টংটাকে সাথে নিয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে ব্যাংককের বাড়িতে ফেরেন।

থাকসিনকে এই পুলিশ হাসপাতালে ছয় মাস থাকতে হয়েছে। এদিকে হাসপাতালের সামনে মুষ্টিমেয় লোককে থাকসিনের মুক্তির প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে।

দু’দুবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন ২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। আগস্টে ফেরার পর দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তার আট বছরের কারাদন্ড হয়।

কিন্তু রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন তার প্রত্যাবর্তনের কয়েকদিনের মধ্যে তার সাজা এক বছর কমিয়ে দেন। এদিকে গত সপ্তাহে সরকার বয়স ও স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে ৭৪ বছর বয়সী থাকসিনকে মুক্তির ঘোষণা দেয়।

উল্লেখ্য, আধুনিক থাই ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিভাজনকারী ব্যক্তিত্ব সাবেক এই টেলিকম টাইকন। গ্রামাঞ্চলের লাখ লাখ লোক থাকসিনকে ভালোবাসত প্রবলভাবে। কিন্তু তিনি রাজকীয় ও সেনা সমর্থিত অভিজাত শ্রেনীর ছিলেন চক্ষুশূল।

তার বোন ইয়াংলাক সিনাওয়াত্রা ২০১১ সালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাকেও ২০১৪ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
বর্তমানে তার কন্যা পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রা পিউ থাই দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাড়ি ফিরেছেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা

আপডেট সময় : ০৬:৪৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা পুলিশ হাসপাতাল থেকে ব্যাংককে তার নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। থাকসিন ১৫ বছরের স্বেচ্ছানির্বাচন শেষে দেশে ফেরার ঠিক ছয় মাস পর রোববার দুই মেয়ে পেতংটার্ন এবং পিন্টংটাকে সাথে নিয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে ব্যাংককের বাড়িতে ফেরেন।

থাকসিনকে এই পুলিশ হাসপাতালে ছয় মাস থাকতে হয়েছে। এদিকে হাসপাতালের সামনে মুষ্টিমেয় লোককে থাকসিনের মুক্তির প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে।

দু’দুবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন ২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। আগস্টে ফেরার পর দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তার আট বছরের কারাদন্ড হয়।

কিন্তু রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন তার প্রত্যাবর্তনের কয়েকদিনের মধ্যে তার সাজা এক বছর কমিয়ে দেন। এদিকে গত সপ্তাহে সরকার বয়স ও স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে ৭৪ বছর বয়সী থাকসিনকে মুক্তির ঘোষণা দেয়।

উল্লেখ্য, আধুনিক থাই ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিভাজনকারী ব্যক্তিত্ব সাবেক এই টেলিকম টাইকন। গ্রামাঞ্চলের লাখ লাখ লোক থাকসিনকে ভালোবাসত প্রবলভাবে। কিন্তু তিনি রাজকীয় ও সেনা সমর্থিত অভিজাত শ্রেনীর ছিলেন চক্ষুশূল।

তার বোন ইয়াংলাক সিনাওয়াত্রা ২০১১ সালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাকেও ২০১৪ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
বর্তমানে তার কন্যা পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রা পিউ থাই দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।