০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাপা এখন চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে : রওশন

জাতীয় পার্টি এখন চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এবং পার্টিকে আবার সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে নেতা-কর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে আমি দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এছাড়া আগামী ৯ মার্চ পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল ঘোষণা দিয়েছি।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গুলশানস্থ নিজ বাসভবেন সংবাদ সম্মেলনে রওশন এরশাদ এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রওশন বলেন, ‘আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কাজী ফিরোজ রশীদ, কো-আহ্বায়ক থাকবেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, যুগ্ম-আহ্বায়ক থাকবেন গোলাম সরোয়ার মিলন, সদস্য সচিব থাকবেন সফিকুল ইসলাম সেন্টু এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এ্যাড, জিয়াউল হক মৃধা।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। নির্বাচনে দলটির ভরাডুবির পর বিরোধ আরও চরমে ওঠে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা করায় অব্যাহতি দেওয়া হয় কাজী ফিরোজ রশীদ, সুনীল শুভ রায় সহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে।

এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে দল থেকে অব্যাহতি দেন রওশন এরশাদ। অবশ্য জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বেই জাতীয় সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছে। গত দুই বারের মতো এবারও সংসদে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকছে দলটি। জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে ঘোষণা করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার।

সংবাদ সম্মেলনে রওশন আরও বলেন, ‘এছাড়া জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব, প্রেসিডিয়াম সদস্য, উপদেষ্টা, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম-মহাসচিব, সম্পাদকমণ্ডলী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং জেলা কমিটির সভাপতি বা আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক বা সদস্য সচিব- ক্রমানুসারে সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।’

রওশন তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমাদের প্রিয় সংগঠন জাতীয় পার্টি এখন চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এবং পার্টিকে আবার সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে নেতা-কর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করে আগামী ৯ মার্চ পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছি। কাজী ফিরোজ রশীদ এবং সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ পার্টির প্রতিষ্ঠাকালীন নেতৃবৃন্দ এবং এরশাদ-ভক্ত সর্বস্তরের অগণিত নেতা কর্মী আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা সবাই মিলে সুন্দর একটি জাতীয় সম্মেলন উপহার দিয়ে জাতীয় পার্টিতে আবার প্রাণ শক্তি ফিরিয়ে আনতে চাই।’

জাপা এখন চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে : রওশন

আপডেট : ০৯:৩১:২১ পূর্বাহ্ন, রোববার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

জাতীয় পার্টি এখন চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এবং পার্টিকে আবার সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে নেতা-কর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে আমি দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এছাড়া আগামী ৯ মার্চ পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল ঘোষণা দিয়েছি।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গুলশানস্থ নিজ বাসভবেন সংবাদ সম্মেলনে রওশন এরশাদ এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রওশন বলেন, ‘আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কাজী ফিরোজ রশীদ, কো-আহ্বায়ক থাকবেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, যুগ্ম-আহ্বায়ক থাকবেন গোলাম সরোয়ার মিলন, সদস্য সচিব থাকবেন সফিকুল ইসলাম সেন্টু এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এ্যাড, জিয়াউল হক মৃধা।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। নির্বাচনে দলটির ভরাডুবির পর বিরোধ আরও চরমে ওঠে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা করায় অব্যাহতি দেওয়া হয় কাজী ফিরোজ রশীদ, সুনীল শুভ রায় সহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে।

এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে দল থেকে অব্যাহতি দেন রওশন এরশাদ। অবশ্য জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বেই জাতীয় সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছে। গত দুই বারের মতো এবারও সংসদে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকছে দলটি। জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে ঘোষণা করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার।

সংবাদ সম্মেলনে রওশন আরও বলেন, ‘এছাড়া জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব, প্রেসিডিয়াম সদস্য, উপদেষ্টা, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম-মহাসচিব, সম্পাদকমণ্ডলী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং জেলা কমিটির সভাপতি বা আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক বা সদস্য সচিব- ক্রমানুসারে সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।’

রওশন তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমাদের প্রিয় সংগঠন জাতীয় পার্টি এখন চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এবং পার্টিকে আবার সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে নেতা-কর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করে আগামী ৯ মার্চ পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছি। কাজী ফিরোজ রশীদ এবং সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ পার্টির প্রতিষ্ঠাকালীন নেতৃবৃন্দ এবং এরশাদ-ভক্ত সর্বস্তরের অগণিত নেতা কর্মী আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা সবাই মিলে সুন্দর একটি জাতীয় সম্মেলন উপহার দিয়ে জাতীয় পার্টিতে আবার প্রাণ শক্তি ফিরিয়ে আনতে চাই।’