পাকিস্তানের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে কারচুপির দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করা রাওয়ালপিন্ডি ডিভিশনের কমিশনার লিয়াকত আলী চাতাকে আটক করেছে পুলিশ। পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের পর পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন চাতা। পরে তাঁর অফিসে অভিযান চালিয়ে সেটি বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রশাসন রেকর্ড জালিয়াতি ঠেকাতে অফিসটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওই কমিশনারকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাঁকে পুলিশ অজানা স্থানে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
রাওয়ালপিন্ডি জেলা প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সামগ্রী ও তথ্য-উপাত্ত সুরক্ষিত করা হয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেনি। এবারের নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)–সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৯২টি আসন পেয়েছে। এরপর রয়েছে যথাক্রমে পিএমএল-এন ৭৯ ও পিপিপি ৫৪ আসন। কোনো দল বা জোট সরকার গঠন করতে হলে ১৩৪টি আসন প্রয়োজন।
এদিকে রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলির করা ভোট কারচুপির অভিযোগ তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। সংস্থাটি জানিয়েছে, রাওয়ালপিন্ডির কমিশনারের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তদন্ত প্রতিবেদনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে।