গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় আজও ঢাকার বাতাস ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষেই অবস্থান করছে রাজধানী ঢাকা। আজ সোমবার (১৯ই ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার সূচকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আইকিউএয়ারের মানদ- অনুযায়ী, ৩৩৫ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে রাজধানী ঢাকা। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।
এ ছাড়া স্কোর ২১২ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতের মুম্বাই শহরের স্কোর ১৭৭, ১৭৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে দেশটির রাজধানী দিল্লি এবং ১৬৩ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।