১৫ বছরে ২৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ
- আপডেট সময় : ০৬:৪২:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
গত ১৫ বছরে সরকার ২৬ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন (২ হাজার ৬০৯ কোটি) ডলার বিদেশি ঋণ ও সুদ পরিশোধ করেছে। ২০০৮-০৯ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত এই অর্থ পরিশোধ করেছে সরকার। তবে দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৩-৭৪ থেকে ২০০৭-০৮ অর্থবছর পর্যন্ত ৩৬ বছরে এই অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬ দশমিক ১ বিলিয়ন (প্রায় ১ হাজার ৬১০ কোটি) ডলার।
বিদেশি ঋণ পরিশোধের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ১৫ বছরে সরকার যে পরিমাণ বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে, তা আগের ৩৬ বছরের তুলনায় ৬২ শতাংশ বেশি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে বিজনেস দৈনিক বণিক বার্তার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ইআরডির সর্বশেষ প্রকাশিত ‘ফ্লো অব এক্সটারনাল রিসোর্সেস’ প্রতিবেদনের তথ্যের বরাত দিয়ে বণিক বার্তা জানিয়েছে, গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) রেকর্ড সর্বোচ্চ পরিমাণ ঋণ ও সুদ পরিশোধ করেছে সরকার। এ সময় শুধু মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছে আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি, যার পরিমাণ ২৬৭ কোটি ১৭ লাখ ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বল্পমেয়াদি ঋণ যুক্ত করে তা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে সরকার বৈদেশিক ঋণ ও সুদ পরিশোধ করেছে ৩৬৬ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে সরকারের মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল প্রায় ২০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার। যদিও আগের ৩৬ বছরে এ ধরনের ঋণ পরিশোধ হয়েছিল ১২ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি।
স্বাধীনতার পর থেকে দেশের বিদ্যুৎ খাতে আলাদা করে কোনো ঋণ পরিশোধ করতে হয়নি। কিন্তু ২০০৯ সালে পর এ খাতে বিদেশি ঋণ নেওয়া বাড়তে থাকে। এ ঋণ পরিশোধ শুরু হয় ২০১৩-১৪ অর্থবছরে। এরপর গত ১০ বছরে সরকারকে এ খাতে ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে ২৬৭ কোটি ৫২ লাখ ডলার।
২০০৯ সালের আগে টেলিযোগাযোগ খাতেও আগে কোনো ঋণ ছিল না সরকারের। গত দেড় দশকে বিদেশি ঋণে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। এ খাতে গত ১০ বছরে পরিশোধ করতে হয়েছে ১ কোটি ডলারের কিছু বেশি।
আইএমএফের ঋণ পরিশোধ বাবদ গত ১৫ বছরে সরকারকে ব্যয় করতে হয়েছে ১৪৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। এর আগের ৩৬ বছরে পরিশোধ করতে হয়েছিল ৩০২ কোটি ৫১ লাখ ডলার। আর সংস্থাটির কাছ থেকে নতুন করে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিচ্ছে সরকার। এসব ঋণ পরিশোধের দায়ও সামনে যুক্ত হবে।