ঢাকা ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে : গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪০৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষা আন্দোলন ছিল না। সেটি প্রকৃত পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা পর্ব। ভাষা আন্দোলনের চেতনাই কিন্তু পরবর্তীতে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নিতে প্রেরণা জুগিয়েছে। আজ বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র নেই, কথা বলা ও লেখার স্বাধীনতা নেই। জনগণের ভোটাধিকার নেই। তাই বিএনপির যে একদফার আন্দোলন তা চলবে।

আজ (মঙ্গলবার) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি নেতারা।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ঘটে। আমরা পাকিস্তানিদের বলেছিলাম তোমাদের বৈষম্যের শাসন মানি না। সেদিন বাঙালি তাদের ব্যালটের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের বুঝিয়ে দিয়েছিল তোমাদের চায় না। ফলে পাকিস্তান মুসলিম লীগ সরকারের ভরাডুবি হয়েছিল।

গয়েশ্বর বলেন, আজও যদি হিসাব করেন যারা স্বাধীনতা রক্ষার দাবিদার তাদের হাতে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন দলের লক্ষাধিক নেতাকর্মী নিহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত হয়েছেন। ফলে শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে লক্ষাধিক শহিদ মিনার উপহার দিয়েছেন।

বিএনপির নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা কটূক্তি করছে বলে অভিযোগ করে গয়েশ্বর বলেন, যখন খুশি মামলা দিচ্ছে। বিচারকরা কোনো যাচাই-বাছাই করেন না।

তিনি বলেন, কারাগারে নেওয়ার পর তো নেতাকর্মীদের থেকে টাকা নিয়ে বাণিজ্য করে। জামিনের পরও মুক্তি নিয়ে সময় ক্ষেপন করা হয়। এই কাগজ তো ওই কাগজ। এই অফিসার তো ওই অফিসার। আবার বাইরের খাবার নিতে দেয় না। কিন্তু কিছু টাকা দিবেন বাইরের খাবার নেওয়া যাবে। আসলে অত্যাচারের শেষ কোথায়? একটা মানুষকে অত্যাচার করতে করতে কবরে না যাওয়া পর্যন্ত ওরা থামে না।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে : গয়েশ্বর

আপডেট সময় : ০২:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষা আন্দোলন ছিল না। সেটি প্রকৃত পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা পর্ব। ভাষা আন্দোলনের চেতনাই কিন্তু পরবর্তীতে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নিতে প্রেরণা জুগিয়েছে। আজ বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র নেই, কথা বলা ও লেখার স্বাধীনতা নেই। জনগণের ভোটাধিকার নেই। তাই বিএনপির যে একদফার আন্দোলন তা চলবে।

আজ (মঙ্গলবার) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি নেতারা।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ঘটে। আমরা পাকিস্তানিদের বলেছিলাম তোমাদের বৈষম্যের শাসন মানি না। সেদিন বাঙালি তাদের ব্যালটের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের বুঝিয়ে দিয়েছিল তোমাদের চায় না। ফলে পাকিস্তান মুসলিম লীগ সরকারের ভরাডুবি হয়েছিল।

গয়েশ্বর বলেন, আজও যদি হিসাব করেন যারা স্বাধীনতা রক্ষার দাবিদার তাদের হাতে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন দলের লক্ষাধিক নেতাকর্মী নিহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত হয়েছেন। ফলে শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে লক্ষাধিক শহিদ মিনার উপহার দিয়েছেন।

বিএনপির নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা কটূক্তি করছে বলে অভিযোগ করে গয়েশ্বর বলেন, যখন খুশি মামলা দিচ্ছে। বিচারকরা কোনো যাচাই-বাছাই করেন না।

তিনি বলেন, কারাগারে নেওয়ার পর তো নেতাকর্মীদের থেকে টাকা নিয়ে বাণিজ্য করে। জামিনের পরও মুক্তি নিয়ে সময় ক্ষেপন করা হয়। এই কাগজ তো ওই কাগজ। এই অফিসার তো ওই অফিসার। আবার বাইরের খাবার নিতে দেয় না। কিন্তু কিছু টাকা দিবেন বাইরের খাবার নেওয়া যাবে। আসলে অত্যাচারের শেষ কোথায়? একটা মানুষকে অত্যাচার করতে করতে কবরে না যাওয়া পর্যন্ত ওরা থামে না।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক প্রমুখ।