পাকিস্তানে নতুন সরকার গঠন নিয়ে অচলাবস্থা এখনো কাটেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২৭ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকার গঠনের চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে। পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার বক্তব্যের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ডন ও জিও নিউজ।
জিও নিউজ জানিয়েছে, গতকাল সোমবার তাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা কামার জামান কায়রা। সেখানে তিনি বলেন, ‘আর ৮ থেকে ৯ দিন পর নতুন জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে পারে।’ সেই হিসেবে বলা যায়, ২৭ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকার হতে পারে।
কামার জামান কায়রা আরও বলেন, পিপিপি অবশ্যই সংসদে যোগ দেবে, তবে কেন্দ্রে সরকারের সঙ্গে জোট করবে না। কীভাবে নতুন সরকারের জোট গঠিত হতে পারে সে ব্যাপারে পিপিপি ও পিএমএল-এন কাজ করতে বলেও জানান তিনি।
পিপিপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, এ পর্যন্ত পিপিপি ও পিএমএল–এন চারবার বৈঠক করেছে। জোটের বিষয়ে অলোচনার অনেক দূর এগিয়েছে। তবে এসব আলোচনার এজেন্ডায় মন্ত্রণালয় ভাগাভাগির বিষয়টি ছিল না।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এ নির্বাচনে কোনে দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এ কারণে জোট গঠন করে ক্ষমতাং যেতে চাচ্ছে পিএমএল-এন ও পিপিপি। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন, অপরদিকে পিএমএল–এন পেয়েছে ৭৫টি আসন। এখন কিছু শর্ত সাপেক্ষে পিএমএল–এনের সঙ্গে জোট করতে চাচ্ছে পিপিপি।
পিএমএল-এন ও পিপিপি জোট গঠন চূড়ান্ত হলে বিরোধী দল হিসেবে সংসদে যেতে পারে আসন সংখ্যায় প্রথম অবস্থানে থাকা ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই)।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭টি আসন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে (একটি স্থগিত) ভোট হয়েছে। একটি আসনে ফল স্থগিত থাকার ঘোষণা দেওয়া দেয় নির্বাচন কমিশন। সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪ আসন।