ঢাকা ১১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

সাইফুজ্জামানের ‘দুর্নীতি’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৭:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৭৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ নিয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বলেন, ‘গতকাল ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের লোকদের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি একটি ওপেন সিক্রেট। মন্ত্রীপরিষদের সাবেক এক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। যার মূল্য ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড, যা দেশের বৈদেশিক রিজার্ভের এক শতাংশের সমতুল্য। এটি অনেক ঘটনার মধ্যে একটি। বাংলাদেশ সরকারকে জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের পদক্ষেপ নিবে?

জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, ‘আমরা এই রিপোর্টের বিষয়ে অবগত রয়েছি। বাংলাদেশ সরকারকে বলবো, তাদের সব কর্মকর্তা যেনো দেশটির আইন এবং অর্থনৈতিক বিধি-বিধান মেনে চলে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে।’

প্রসঙ্গত, ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্লুমবার্গের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট কোম্পানি গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

রিপোর্টে বলা হয়, লন্ডনের উত্তর-পশ্চিম এলাকায় একটি প্রপার্টি ২০২২ সালে ১১ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি হয়। রিজেন্টস পার্ক ও লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে একদমই কাছে অবস্থিত ওই প্রোপার্টিটি বৃটেনের রাজধানী লন্ডনের সবথেকে ধনী এলাকায় অবস্থিত। এই প্রপার্টির মালিক বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বর্তমানে ওই প্রোপার্টির দাম ১৩ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি।

বাংলাদেশের মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অনুযায়ী, কোনো নাগরিক, বাসিন্দা এবং সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের বেশি দেশের বাইরে পাঠাতে পারেন না। নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ ও অনুমোদন ছাড়া কোনো করপোরেশনও বিদেশে অর্থ স্থানান্তর করতে পারে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাইফুজ্জামানের ‘দুর্নীতি’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ নিয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বলেন, ‘গতকাল ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের লোকদের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি একটি ওপেন সিক্রেট। মন্ত্রীপরিষদের সাবেক এক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। যার মূল্য ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড, যা দেশের বৈদেশিক রিজার্ভের এক শতাংশের সমতুল্য। এটি অনেক ঘটনার মধ্যে একটি। বাংলাদেশ সরকারকে জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের পদক্ষেপ নিবে?

জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, ‘আমরা এই রিপোর্টের বিষয়ে অবগত রয়েছি। বাংলাদেশ সরকারকে বলবো, তাদের সব কর্মকর্তা যেনো দেশটির আইন এবং অর্থনৈতিক বিধি-বিধান মেনে চলে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে।’

প্রসঙ্গত, ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্লুমবার্গের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট কোম্পানি গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

রিপোর্টে বলা হয়, লন্ডনের উত্তর-পশ্চিম এলাকায় একটি প্রপার্টি ২০২২ সালে ১১ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি হয়। রিজেন্টস পার্ক ও লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে একদমই কাছে অবস্থিত ওই প্রোপার্টিটি বৃটেনের রাজধানী লন্ডনের সবথেকে ধনী এলাকায় অবস্থিত। এই প্রপার্টির মালিক বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বর্তমানে ওই প্রোপার্টির দাম ১৩ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি।

বাংলাদেশের মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অনুযায়ী, কোনো নাগরিক, বাসিন্দা এবং সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের বেশি দেশের বাইরে পাঠাতে পারেন না। নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ ও অনুমোদন ছাড়া কোনো করপোরেশনও বিদেশে অর্থ স্থানান্তর করতে পারে না।