ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হাইতির সাবেক প্রেসিডেন্টকে হত্যা, স্ত্রীকে গ্রেফতারের নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:০৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজ বাড়িতে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২০২১ সালে নিহত হন হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি। তিন বছর পর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্ত্রী মার্টিন মইসি, সাবেক এক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক এক পুলিশ প্রধানসহ ৫০ জনকে অভিযুক্ত করে তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির বিচারপতি ওয়ালথার ওয়েসার ভলতেয়ার। এ হত্যার ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন ওই বিচারপতি।

ফাঁস হওয়া ১২২ পৃষ্ঠার একটি নথি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আয়িবো পোস্টে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, মার্টিন মইসি হাইতির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্লদ জোসেফের সঙ্গে মিলে স্বামীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। স্বামীকে খুন করার মধ্য দিয়ে মার্টিন মইসি নিজেই প্রেসিডেন্ট হতে চেয়েছিলেন। ফাঁস হওয়া ওই নথিতে হত্যার পরিকল্পনার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।

মার্টিন মইসিকে অভিযুক্ত করার কারণ হিসেবে নথিতে বলা হয়েছে, তার জবানবন্দিগুলো এতটাই অসংগতিপূর্ণ যে তিনি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। মার্টিন মইসি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে বলেছেন, গ্রেপ্তারের বিষয়টি অন্যায্য।

এ হত্যাকাণ্ডে হাইতির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্লদ জোসেফ এবং জাতীয় পুলিশের সাবেক মহাপরিচালক লিওন চার্লসও জড়িত ছিলেন বলে ‘যথেষ্ট ইঙ্গিত’ মিলেছে।

২০২১ সালের জুলাইয়ে নিজ বাসভবনে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হন জোভেনেল মইসি। এ হামলায় তাঁর স্ত্রী মার্টিন মইসি আহত হন। প্রায় ২০ জন দুর্বৃত্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই কলম্বিয়ার ভাড়াটে খুনি।

সেই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। স্বাভাবিকভাবেই মার্টিনের জন্য সমবেদনা ছিল সবার। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, হত্যাকাণ্ডে কলকাঠি নেড়েছিলেন খোদ ফার্স্টলেডিই। আর সঙ্গে ছিলেন দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ক্লাউডি জোসেফ।

নিউজটি শেয়ার করুন

হাইতির সাবেক প্রেসিডেন্টকে হত্যা, স্ত্রীকে গ্রেফতারের নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৩:০৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজ বাড়িতে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২০২১ সালে নিহত হন হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি। তিন বছর পর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্ত্রী মার্টিন মইসি, সাবেক এক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক এক পুলিশ প্রধানসহ ৫০ জনকে অভিযুক্ত করে তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির বিচারপতি ওয়ালথার ওয়েসার ভলতেয়ার। এ হত্যার ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন ওই বিচারপতি।

ফাঁস হওয়া ১২২ পৃষ্ঠার একটি নথি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আয়িবো পোস্টে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, মার্টিন মইসি হাইতির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্লদ জোসেফের সঙ্গে মিলে স্বামীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। স্বামীকে খুন করার মধ্য দিয়ে মার্টিন মইসি নিজেই প্রেসিডেন্ট হতে চেয়েছিলেন। ফাঁস হওয়া ওই নথিতে হত্যার পরিকল্পনার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।

মার্টিন মইসিকে অভিযুক্ত করার কারণ হিসেবে নথিতে বলা হয়েছে, তার জবানবন্দিগুলো এতটাই অসংগতিপূর্ণ যে তিনি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। মার্টিন মইসি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে বলেছেন, গ্রেপ্তারের বিষয়টি অন্যায্য।

এ হত্যাকাণ্ডে হাইতির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্লদ জোসেফ এবং জাতীয় পুলিশের সাবেক মহাপরিচালক লিওন চার্লসও জড়িত ছিলেন বলে ‘যথেষ্ট ইঙ্গিত’ মিলেছে।

২০২১ সালের জুলাইয়ে নিজ বাসভবনে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হন জোভেনেল মইসি। এ হামলায় তাঁর স্ত্রী মার্টিন মইসি আহত হন। প্রায় ২০ জন দুর্বৃত্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই কলম্বিয়ার ভাড়াটে খুনি।

সেই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। স্বাভাবিকভাবেই মার্টিনের জন্য সমবেদনা ছিল সবার। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, হত্যাকাণ্ডে কলকাঠি নেড়েছিলেন খোদ ফার্স্টলেডিই। আর সঙ্গে ছিলেন দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ক্লাউডি জোসেফ।