দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি: গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মসূচি ঘোষণা
- আপডেট সময় : ০৪:৫৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৪০২ বার পড়া হয়েছে
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা সাকিব আনোয়ারের ওপর হামলা এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, ব্যাংক লোপাট ও অর্থ পাচারের প্রতিবাদে দুই দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মঞ্চের নেতা সাকিব আনোয়ার এর উপর হামলা ও রাজনৈতিক দমন প্রেরণের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। আর ২৮ ফেব্রুয়ারি দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, ব্যাংক লোপাট ও অর্থ পাচারের প্রতিবাদে সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ করবে দলটি।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গণসংহতি আন্দোলন কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের এক সভায় এই কর্মসূচির ঘোষণা আসে। মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সাভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী। সবাই আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া প্রমূখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আমি-ডামি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা এই সরকার সর্বত্র ভয়-ত্রাস আর দমন পীড়ন করে মানুষের কণ্ঠ রোধ করতে চাইছে। গত ১৯শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার খামারবাড়ি এলাকায় নাগরিক ঐক্যের ‘গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর’ কর্মসূচিতে হামলা করে নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ারকে গুরুতর আহত করার ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা। হামলা-মামলা, গ্রেফতার এবং গুম-খুনের আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। নেতৃবৃন্দ বলেন অতীতের স্বৈরাচারীদের মত এই পথে শেষ পর্যন্ত পার পাওয়া যাবে না। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সকল ভয়-ত্রাস মোকাবেলা করে বিজয়ী হবে।
সভায় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জনসম্মতিহীন অবৈধ এই সরকারের লুটপাট ও কতিপয় তোষণ নীতির কারণে দেশের বিদ্যুৎ খাত এক ভয়ঙ্কর লুণ্ঠনের ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। তাদের ভুলনীতি ও দুর্নীতি লুটপাটের কারণে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে আর তার দায় জনগণের উপর চাপিয়ে দিতে বার বার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। দুর্নীতি বন্ধ করে ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ব্যয় কমানো সম্ভব হলেও লুটপাট দুর্নীতির স্বার্থে সেই দিকে তারা অগ্রসর হচ্ছে না। উপরন্ত রেন্টাল কুইক রেন্টালের নামে জনগণের পকেট কেটে কতিপয় তোষণ নীতি অব্যাহত রেখেছে। শুধু তাই নয়, ব্যাংকসহ আর্থিকখাতের পরিস্থিতি গভীর সংকটে নিপতিত। বাজার নিয়ন্ত্রণের হাঁকডাক সত্ত্বেও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। দ্রব্যমূল্যের বেপরোয়া উর্ধগতির কারণে মানুষের জীবন আরও দূর্বিসহ হচ্ছে। জনগণের পকেট হাতিয়ে নেওয়া দুর্বৃত্তদের স্বার্থ রক্ষার্থেই কাজ করছে সরকার। সে কারণে সরকারের এই লুণ্ঠন ও কতিপয় দূষণ নীতির মাশুল জনগণ দেবে না। সভায় হামলা-মামলা ও দমন বিরুদ্ধে এবং দ্রব্যমূল্য ব্যাংক লোপাট ও অর্থপাচারের প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।