০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঙালির সব অর্জন আ. লীগের হাত ধরে এসেছে: প্রধানমন্ত্রী

বাঙালির সব অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দলীয় আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপির কাছে গণতন্ত্রের ছবক শুনতে হয়, অথচ তারাই স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করতে বঙ্গবন্ধুকে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আবার শুনি তাদের বড় বড় কথা। আন্দোলন করে সরকার হটিয়ে দেবে। তার মধ্যে জামায়াত–বিএনপি বুঝলাম, কিন্তু আমাদের কিছু বামপন্থি দল আছে এখন তারাও লাফায়। তারাও আন্দোলন করবে, বিপ্লব করবে।’

বিএনপির সমালোচনা করে সরকার প্রধান বলেন, ‘যারা মানবতার কথা বলেন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করার পর তাঁদের মানবতা কোথায় ছিল?’

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জেলে ছিলেন উল্লেখ করে কিছু লোক ভাষা আন্দোলনে তার অবদান অস্বীকার করতে চান। অথচ সে সময়ের পাকিস্তানি গোয়েন্দা প্রতিবেদনেই ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের প্রমাণ রয়ে গেছে। ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান যারা মুছে ফেলতে চেয়েছিল তারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে এটাই বাস্তবতা।’

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের ওপর একটি বিজাতিও ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার যে প্রচেষ্টা তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। মুজিব একটি জাতির রুপকার, এই সিনেমা দেখলেও কিন্তু ইতিহাসের অনেক কিছু জানার সুযোগ রয়েছে। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়েছে। অনেক জ্ঞানীগুণী বুদ্ধিজীবীর বক্তব্য ছিল তিনি (বঙ্গবন্ধু) আবার ভাষা আন্দোলেন কী ভূমিকা রেখেছিলেন। দেশের মানুষের কথা বলতে গিয়ে বারবার জেলে গেছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ইতিহাস বিকৃত করা ও বাংলাদেশের মানুষকে হেয় করা এক শ্রেণির মানুষের মজ্জাগত সমস্যা। তাদের কিছুই ভালো লাগে না। কোনো ভালো কাজই তাদের পছন্দ হয় না। জাতির পিতার অবদানকে খাঁটো করার চেষ্টা হলেও কোনো লাভ হয়নি। কারণ, ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আমাদের দেশের কিছু আঁতেল এক সময় বলেছে, শেখ মুজিব ভালো প্রশাসক ছিলেন না। অথচ, যে সেক্টরে হাত দিয়েছি, দেখেছি মূল কাজটা বঙ্গবন্ধু করে দিয়ে গেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার কাজ করেছেন। স্বল্পোন্নত দেশ করে দিয়ে গেছেন। তার দেখানো পথেই আমরা এগিয়েছি। রাষ্ট্র পরিচালনার সব ভিত্তিই বঙ্গবন্ধু তৈরি।’

দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও ড. আব্দুর রাজ্জাক, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা সভায় বক্তৃতা করেন।

আলোচনা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড.আবদুস সোবহান গোলাপ ও সহ প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম। শুরুতেই ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বাঙালির সব অর্জন আ. লীগের হাত ধরে এসেছে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০৫:০৫:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাঙালির সব অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দলীয় আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপির কাছে গণতন্ত্রের ছবক শুনতে হয়, অথচ তারাই স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করতে বঙ্গবন্ধুকে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আবার শুনি তাদের বড় বড় কথা। আন্দোলন করে সরকার হটিয়ে দেবে। তার মধ্যে জামায়াত–বিএনপি বুঝলাম, কিন্তু আমাদের কিছু বামপন্থি দল আছে এখন তারাও লাফায়। তারাও আন্দোলন করবে, বিপ্লব করবে।’

বিএনপির সমালোচনা করে সরকার প্রধান বলেন, ‘যারা মানবতার কথা বলেন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করার পর তাঁদের মানবতা কোথায় ছিল?’

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জেলে ছিলেন উল্লেখ করে কিছু লোক ভাষা আন্দোলনে তার অবদান অস্বীকার করতে চান। অথচ সে সময়ের পাকিস্তানি গোয়েন্দা প্রতিবেদনেই ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের প্রমাণ রয়ে গেছে। ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান যারা মুছে ফেলতে চেয়েছিল তারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে এটাই বাস্তবতা।’

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের ওপর একটি বিজাতিও ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার যে প্রচেষ্টা তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। মুজিব একটি জাতির রুপকার, এই সিনেমা দেখলেও কিন্তু ইতিহাসের অনেক কিছু জানার সুযোগ রয়েছে। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়েছে। অনেক জ্ঞানীগুণী বুদ্ধিজীবীর বক্তব্য ছিল তিনি (বঙ্গবন্ধু) আবার ভাষা আন্দোলেন কী ভূমিকা রেখেছিলেন। দেশের মানুষের কথা বলতে গিয়ে বারবার জেলে গেছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ইতিহাস বিকৃত করা ও বাংলাদেশের মানুষকে হেয় করা এক শ্রেণির মানুষের মজ্জাগত সমস্যা। তাদের কিছুই ভালো লাগে না। কোনো ভালো কাজই তাদের পছন্দ হয় না। জাতির পিতার অবদানকে খাঁটো করার চেষ্টা হলেও কোনো লাভ হয়নি। কারণ, ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আমাদের দেশের কিছু আঁতেল এক সময় বলেছে, শেখ মুজিব ভালো প্রশাসক ছিলেন না। অথচ, যে সেক্টরে হাত দিয়েছি, দেখেছি মূল কাজটা বঙ্গবন্ধু করে দিয়ে গেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার কাজ করেছেন। স্বল্পোন্নত দেশ করে দিয়ে গেছেন। তার দেখানো পথেই আমরা এগিয়েছি। রাষ্ট্র পরিচালনার সব ভিত্তিই বঙ্গবন্ধু তৈরি।’

দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও ড. আব্দুর রাজ্জাক, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা সভায় বক্তৃতা করেন।

আলোচনা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড.আবদুস সোবহান গোলাপ ও সহ প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম। শুরুতেই ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।