০৫:২০ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়াকে অত্যাধুনিক ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে ইরান

রাশিয়াকে অন্তত ৪০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে ইরান। এসব অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ৩০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এর মধ্যে ফাতেহ-১১০ গোত্রের ‘জুলফেকার’ নামের স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার চাপে থাকা দেশ দুটির মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই অস্ত্র পাঠানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত বছরের শেষদিকে তেহরান ও মস্কোয় দুই দেশের সামরিক বাহিনী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অস্ত্রচুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী গেল জানুয়ারির শুরুতে ক্ষেপণাস্ত্রের এই চালান পাঠানো হয়েছে। অন্তত ৬টি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইরানের এক সেনা কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত অন্তত ৪টি ক্ষেপণাস্ত্রের চালান পাঠানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও বেশি চালান যাবে।’

আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে আমরা যেকোনো দেশে অস্ত্র রপ্তানি করতে পারি। ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু চালান উড়োজাহাজের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল, বাকিগুলো জাহাজে করে ক্যাস্পিয়ান সাগর দিয়ে পাঠানো হয়।’

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত প্রকল্পটি তদারক করে দেশটির সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। এ প্রসঙ্গে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা আইআরজিসির পক্ষ থেকে কিছু জানা যায়নি।

ইরান এবং রাশিয়া উভয় দেশই আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার চাপে রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জন কিরবি এক ব্রিফিংয়ে বলেন, রাশিয়া ও ইরান অস্ত্র বিনিময় বিষয়ক গোপন চুক্তি করছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন এবং বিষয়টি উদ্বেগজনক। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন সাম্প্রতিক এই ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো প্রসঙ্গে কিছু বলেনি।

রাশিয়াকে অত্যাধুনিক ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে ইরান

আপডেট : ০৭:১৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রাশিয়াকে অন্তত ৪০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে ইরান। এসব অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ৩০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এর মধ্যে ফাতেহ-১১০ গোত্রের ‘জুলফেকার’ নামের স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার চাপে থাকা দেশ দুটির মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই অস্ত্র পাঠানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত বছরের শেষদিকে তেহরান ও মস্কোয় দুই দেশের সামরিক বাহিনী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অস্ত্রচুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী গেল জানুয়ারির শুরুতে ক্ষেপণাস্ত্রের এই চালান পাঠানো হয়েছে। অন্তত ৬টি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইরানের এক সেনা কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত অন্তত ৪টি ক্ষেপণাস্ত্রের চালান পাঠানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও বেশি চালান যাবে।’

আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে আমরা যেকোনো দেশে অস্ত্র রপ্তানি করতে পারি। ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু চালান উড়োজাহাজের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল, বাকিগুলো জাহাজে করে ক্যাস্পিয়ান সাগর দিয়ে পাঠানো হয়।’

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত প্রকল্পটি তদারক করে দেশটির সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। এ প্রসঙ্গে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা আইআরজিসির পক্ষ থেকে কিছু জানা যায়নি।

ইরান এবং রাশিয়া উভয় দেশই আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার চাপে রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জন কিরবি এক ব্রিফিংয়ে বলেন, রাশিয়া ও ইরান অস্ত্র বিনিময় বিষয়ক গোপন চুক্তি করছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন এবং বিষয়টি উদ্বেগজনক। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন সাম্প্রতিক এই ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো প্রসঙ্গে কিছু বলেনি।