ঢাকা ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম নিম্নমুখী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৯:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪০৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম নিম্নমুখী রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ইন্টারন্যাশনাল কন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) খাদ্যপণ্যটির দর আরেক দফা কমেছে। এতে ভোগ্যপণ্যটির মূল্য গত ১ মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বাণিজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নাসডাকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

তাতে বলা হয়, আলোচ্য কার্যদিবস শেষে আইসিইতে আগামী মার্চের অপরিশোধিত চিনির দাম হ্রাস পেয়েছে ১ দশমিক ১ শতাংশ। প্রতি পাউন্ডের মূল্য স্থির হয়েছে ২২ দশমিক ৫২ সেন্টে। কর্মদিবসের শুরুতে তা ছিল ২২ দশমিক ৪১১ সেন্ট। গত জানুয়ারির শুরুর দিকের পর যা সবচেয়ে কম।

আলোচিত দিনে সাদা চিনির দর নিম্নমুখী হয়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি মেট্রিক টনের দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৬১৫ ডলারে। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে ভোগ্যপণ্যটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে ১০ ডলার।

চলতি সপ্তাহে বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদক ব্রাজিলের মধ্য-দক্ষিণ অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে সেখানে আখের ভালো বৃদ্ধি ঘটেছে। সেখানে মূলত প্রচুর পরিমাণে আখ উৎপন্ন হয়। পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন মৌসুমে দেশটিতে ফসলটির বাম্পার ফলন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে বিশ্ববাজারে সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ কমেছে। সঙ্গত কারণে চিনির বড় দরপতন ঘটেছে।

এছাড়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ উৎপাদক ভারত আখের ফ্লোর প্রাইস বাড়াতে যাচ্ছে। ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে ফসলটি কিনতে আগের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি অর্থ গুনতে হবে কারাখানা মালিকদের।

কৃষকরা যাতে পর্যাপ্ত জোগান দেন, এজন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাতে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। সর্বোপরি, মূল উদ্দেশ্য চিনির উৎপাদন বাড়ানো। এমনটি হলে বৈশ্বিক বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। এ আশায় খাদ্যপণ্যটির দাম কমছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম নিম্নমুখী

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম নিম্নমুখী রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ইন্টারন্যাশনাল কন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) খাদ্যপণ্যটির দর আরেক দফা কমেছে। এতে ভোগ্যপণ্যটির মূল্য গত ১ মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বাণিজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নাসডাকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

তাতে বলা হয়, আলোচ্য কার্যদিবস শেষে আইসিইতে আগামী মার্চের অপরিশোধিত চিনির দাম হ্রাস পেয়েছে ১ দশমিক ১ শতাংশ। প্রতি পাউন্ডের মূল্য স্থির হয়েছে ২২ দশমিক ৫২ সেন্টে। কর্মদিবসের শুরুতে তা ছিল ২২ দশমিক ৪১১ সেন্ট। গত জানুয়ারির শুরুর দিকের পর যা সবচেয়ে কম।

আলোচিত দিনে সাদা চিনির দর নিম্নমুখী হয়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি মেট্রিক টনের দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৬১৫ ডলারে। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে ভোগ্যপণ্যটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে ১০ ডলার।

চলতি সপ্তাহে বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদক ব্রাজিলের মধ্য-দক্ষিণ অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে সেখানে আখের ভালো বৃদ্ধি ঘটেছে। সেখানে মূলত প্রচুর পরিমাণে আখ উৎপন্ন হয়। পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন মৌসুমে দেশটিতে ফসলটির বাম্পার ফলন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে বিশ্ববাজারে সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ কমেছে। সঙ্গত কারণে চিনির বড় দরপতন ঘটেছে।

এছাড়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ উৎপাদক ভারত আখের ফ্লোর প্রাইস বাড়াতে যাচ্ছে। ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে ফসলটি কিনতে আগের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি অর্থ গুনতে হবে কারাখানা মালিকদের।

কৃষকরা যাতে পর্যাপ্ত জোগান দেন, এজন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাতে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। সর্বোপরি, মূল উদ্দেশ্য চিনির উৎপাদন বাড়ানো। এমনটি হলে বৈশ্বিক বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। এ আশায় খাদ্যপণ্যটির দাম কমছে।