প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা পণ্য মজুত করে দাম বাড়ায় তাদের গণধোলাই দেয়া উচিত। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ডিম লুকিয়ে রেখে দাম বাড়ানো হয়। যারা সরকার উৎখাতের জন্য আন্দোলনকারী তাদের হাত রয়েছে এগুলোর পেছনে। এর আগে পেঁয়াজের খুব অভাব। পরে দেখা গেলো বস্তা বস্তা পচা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দেয়া হচ্ছে। এদেরকে ধরে গণধোলাই দেয়া উচিত। সরকার কিছু বললে মানুষ বলবে সরকার করেছে। তাই জনগণ যদি এগুলোর প্রতিকার করে তাহলে কেউ কিছু বলতে পারবে না। নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে একটি শ্রেণি চক্রান্ত করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন যেন না হয় তার জন্য বিরাট চক্রান্ত ছিল। ২৮ অক্টোবরের কথাটা চিন্তা করেন, ২০১৩ সালে অগ্নিসন্ত্রাস, এগুলো হঠাৎ করে করার কথা না, এগুলো পরিকল্পিতভাবে করা। যারা নির্বাচন বানচালের পক্ষে, তারা যখন দেখল যে নির্বাচন কোনোভাবে আটকাতে পারবে না, তখন চক্রান্ত হলো জিনিসের দাম বাড়াবে। তারপর সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। তখন আন্দোলন করে সরকারকে উৎখাত করবে। এটা তাদের পরিকল্পনার অংশ। এ চক্রান্ত আছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ব্যক্তির উপর কৃষকদের নির্ভরশীল না থাকার উদ্যোগ নিচ্ছি আমরা। প্রথমবার সরকারে আসার পর কৃষি গবেষণার উপর গুরুত্ব দেয়ায় বর্তমানে প্রায় সবক্ষেত্রে আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রত্যেকটা সবজি এখন বারো মাস পাওয়া যায়।
এ সময় প্রত্যেকের জমিতে চাষ করার জন্য উৎসাহিত করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কৃষিতে ৪৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, রমজানে কোনো জিনিসের অভাব হবে না। ইতিমধ্যে সব ব্যবস্থা করা আছে। রমজানে সাধারণত মানুষ কম খায়, আর আমাদের খাওয়া বেড়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পেঁয়াজ আমাদের যথেষ্ট উৎপাদন হচ্ছে। সেটা আমরাই শুরু করেছি। পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন আমরা শুরু করেছি। আগামীতে আমদানি করতে হবে না। আপনারা যখন নিউজ করেন তখন তারাই লুকিয়ে রাখা পেঁয়াজ বের করে। বাজারে তার একটা প্রভাব আছে। এগুলো বাস্তব কথা, আমি খোলামেলা কথা বলছি, লুকানোর কিছু নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্র চলছে, ষড়যন্ত্র আছে। আমি আসার পর থেকে বারবার আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে, আমি যেন ক্ষমতায় না যেতে পারি। আমি আর আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে গেছি, তারপরও ফিরে এসে দায়িত্ব নিয়েছি। আমার চেষ্টাই হচ্ছে, যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন সেটা পূরণ করা। সেক্ষেত্রে ষড়যন্ত্র বারবার হচ্ছে। ভোটের অধিকার আন্দোলনের মধ্যে আমরাই প্রতিষ্ঠিত করেছি। গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে এনেছি।