বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার। আজ শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটায় এই বৈঠক হয় রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, উনারা আমাদেরকে ইনভাইট করেছেন… আমরা এসেছি… কিছু কথা-বার্তা বলেছি। এতটুকু বলতে পারবো… এর বেশি কিছু বলার নেই।

বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এসব তথ্য জানিয়েছেন। বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হলেও গণমাধ্যমে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। আমির খসরু বলেন, আলোচনার বিষয়ে পরে জানানো হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগারে ছিলেন, আপনিও কারাগারে ছিলেন এ বিষয়ে কিছু কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, আপনারা যত প্রশ্ন করবেন… আমার উত্তর হচ্ছে কিছু বলার নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‍পক্ষ থেকে কেউ গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেননি। সকালে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকায় পৌঁছায়। আফরিন আখতার ছাড়াও এই বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও ছিলেন।

সোয়া এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা আলা কামিন্সও উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।

গত ফেব্রুয়ারি সাড়ে তিন মাস পরে কারাগার থেকে মুক্তির পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিদেশিদের সাথে এটি প্রথম বৈঠক। আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফরে ঢাকায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল।

এর আগে গত বছরের ১৬ অক্টোবর ঢাকায় এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার। সেসময় বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক বন্ধন শক্তিশালী করার উপায়, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে উভয়ের স্বার্থন্নোয়নে পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবে।

এই সফরে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ছাড়াও তরুণ অধিকারকর্মী, সুশীল সমাজের নেতা, শ্রম সংগঠন এবং সেন্সরবিহীন গণমাধ্যমের বিকাশে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেও যক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল বৈঠক করবে।