ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সরকার মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করছে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪০৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার যাতে রক্ষা করা যায় সেজন্য সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন। ‘সাউথ এশিয়ান কনস্টিটিউশনাল কোর্টস ইন দা টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি: লেসন ফ্রম বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অন্যদের মধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতের বিচারপতিগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিচার কাজ ডিজিটালাইজেশন, মামলা জট কমানোসহ নানা উদ্যোগের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে এটা প্রমাণিত সত্য যে মানুষের জীবনে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি এবং আর্থসামাজিক উন্নতি- এটা একমাত্র হতে পারে যখন মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার সুযোগ হয়। তখন দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। আজকে জনগণের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে।

গণতান্ত্রিক ধারা ছাড়া কখনো কোনো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তান দুটি দেশ পাশাপাশি। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ যখন আত্মপ্রকাশ পেলে, আমরা দেখলাম ভারতে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। অন্যদিকে সেই পাকিস্তান আমলে হোক, আর বাংলাদেশ হওয়ার পরে হোক, আমরা মিলিটারি ডিকটেটরশিপের ওপর পড়েছি।

তিনি এসময়, সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল বেআইনি ঘোষণা করায় সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পরে যারা পাকিস্তানি কায়দায় সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলো, তারা দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি। উচ্চ আদালতের রায় অনুসরণ করে জনগণের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে। আজকে আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছি। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছি। আজকে আদালতের বিচারপতিগণ অনেকে রায় বাংলায় দেয়া শুরু করেছেন। বিশেষ করে ভাষার মাসে অনেক রায় বাংলায় দেয়া হচ্ছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এ সময় বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা রাখছে বলেও উল্লেখ করে তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে। সরকারপ্রধান বলেছেন, ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত যদি হিসেব করেন, আজকে দেশের যে আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে, সেটা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই। একটা স্থিতিশীল পরিবেশ আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, সংবিধানে বিচার পাওয়ার অধিকার সবারই আছে। ১৫ আগস্ট যারা আপনজন হারিয়েছি, তাদের ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে। ন্যায়বিচার পেতে আমাকেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে হয়। ভারতবাসী সৌভাগ্যবান যে তাদের দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত ছিল। আর আমাদের দেশে এসেছে অমানিশার অন্ধকার। উর্দি পরে ক্ষমতা দখল করে অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার চেষ্টা করেছে।

ভবিষ্যতে দেশের বিচার বিভাগও স্মার্ট হবে- এমন প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। ২০২৬ সাল থেকে সেটা শুরু হবে। ইনশাআল্লাহ, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ আমরা বাস্তবায়ন করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকার মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করছে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দেশের মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার যাতে রক্ষা করা যায় সেজন্য সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন। ‘সাউথ এশিয়ান কনস্টিটিউশনাল কোর্টস ইন দা টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি: লেসন ফ্রম বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অন্যদের মধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতের বিচারপতিগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিচার কাজ ডিজিটালাইজেশন, মামলা জট কমানোসহ নানা উদ্যোগের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে এটা প্রমাণিত সত্য যে মানুষের জীবনে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি এবং আর্থসামাজিক উন্নতি- এটা একমাত্র হতে পারে যখন মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার সুযোগ হয়। তখন দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। আজকে জনগণের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে।

গণতান্ত্রিক ধারা ছাড়া কখনো কোনো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তান দুটি দেশ পাশাপাশি। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ যখন আত্মপ্রকাশ পেলে, আমরা দেখলাম ভারতে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। অন্যদিকে সেই পাকিস্তান আমলে হোক, আর বাংলাদেশ হওয়ার পরে হোক, আমরা মিলিটারি ডিকটেটরশিপের ওপর পড়েছি।

তিনি এসময়, সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল বেআইনি ঘোষণা করায় সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পরে যারা পাকিস্তানি কায়দায় সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলো, তারা দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি। উচ্চ আদালতের রায় অনুসরণ করে জনগণের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে। আজকে আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছি। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছি। আজকে আদালতের বিচারপতিগণ অনেকে রায় বাংলায় দেয়া শুরু করেছেন। বিশেষ করে ভাষার মাসে অনেক রায় বাংলায় দেয়া হচ্ছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এ সময় বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা রাখছে বলেও উল্লেখ করে তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে। সরকারপ্রধান বলেছেন, ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত যদি হিসেব করেন, আজকে দেশের যে আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে, সেটা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই। একটা স্থিতিশীল পরিবেশ আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, সংবিধানে বিচার পাওয়ার অধিকার সবারই আছে। ১৫ আগস্ট যারা আপনজন হারিয়েছি, তাদের ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে। ন্যায়বিচার পেতে আমাকেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে হয়। ভারতবাসী সৌভাগ্যবান যে তাদের দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত ছিল। আর আমাদের দেশে এসেছে অমানিশার অন্ধকার। উর্দি পরে ক্ষমতা দখল করে অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার চেষ্টা করেছে।

ভবিষ্যতে দেশের বিচার বিভাগও স্মার্ট হবে- এমন প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। ২০২৬ সাল থেকে সেটা শুরু হবে। ইনশাআল্লাহ, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ আমরা বাস্তবায়ন করবো।