ঢাকা ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর, ছয় বছর হয়নি আপিল শুনানি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পিলখানায় বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের ১৫ বছর আগামীকাল রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি)। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় থাকলেও বিস্ফোরক মামলাটি এখনো বিচারিক আদালতের গণ্ডি পার হয়নি। দেশের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় মামলা। অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, আপিল বিভাগে বিচারক সংকটের কারণে সর্বোচ্চ আদালতে মামলাটির শুনানি শুরু করা যাচ্ছে না।

হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর ছয় বছরে সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি হয়নি। তবে এ বছরের মধ্যে আপিল শুনানি শুরু হতে পারে বলে আশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিপক্ষের প্রত্যাশা, আপিল বিভাগে বিচারক বাড়িয়ে আলাদা বেঞ্চ গঠন করে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা হবে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে। নৃশংস এই ঘটনায় করা দুই মামলায় আসামি আছেন ৮৫০ জন। এছাড়া বাহিনীর নিজস্ব আইনে ৫৭টি মামলায় প্রায় ৬ হাজার জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিলের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। আটজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টে বিচার চলার সময় কারাগারে থাকা অবস্থায় দু’জনের মৃত্যু হয়। খালাস পান ১২ জন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার কারণে মামলার বিচারকাজ অনেক পিছিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ২৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এখন প্রতি মাসে দুই দিন বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ হচ্ছে। এ বছর বিচার শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা মামলার বয়স এখন ১৫ বছর। হত্যা মামলাটির দুই ধাপ শেষ হলেও বিস্ফোরক মামলার বিচারের গতি অত্যন্ত শ্লথ। প্রায় ১৩’শ সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ২৭৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। আগামী ২৮-২৯ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী তারিখ।

তিনি জানান, হত্যা মামলায় হাইকোর্ট ও বিচারিক আদালতের রায়সহ যাবতীয় নথিপত্র আপিল বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। আপিলের সারসংক্ষেপও জমা দেওয়া হয়েছে, কোনো কিছুই বাকি নেই। যেভাবেই হোক ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিচারকের সংখ্যা বাড়িয়ে এবং আলাদা বেঞ্চ গঠন করে এ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, আপিল বিভাগে এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত বিচারক নেই। কয়েক হাজার পৃষ্ঠার আপিল উভয়পক্ষ শুনানি করতে টানা ৩০-৪০ দিন সময় লাগবে। শিগগির আপিল বিভাগে নতুন বিচারক নিয়োগ হবে। এরপর পৃথক বেঞ্চ গঠন হলে শুনানি শুরু হবে পিলখানা হত্যা মামলার শুনানি।

নিউজটি শেয়ার করুন

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর, ছয় বছর হয়নি আপিল শুনানি

আপডেট সময় : ০৬:৫০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পিলখানায় বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের ১৫ বছর আগামীকাল রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি)। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় থাকলেও বিস্ফোরক মামলাটি এখনো বিচারিক আদালতের গণ্ডি পার হয়নি। দেশের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় মামলা। অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, আপিল বিভাগে বিচারক সংকটের কারণে সর্বোচ্চ আদালতে মামলাটির শুনানি শুরু করা যাচ্ছে না।

হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর ছয় বছরে সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি হয়নি। তবে এ বছরের মধ্যে আপিল শুনানি শুরু হতে পারে বলে আশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিপক্ষের প্রত্যাশা, আপিল বিভাগে বিচারক বাড়িয়ে আলাদা বেঞ্চ গঠন করে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা হবে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে। নৃশংস এই ঘটনায় করা দুই মামলায় আসামি আছেন ৮৫০ জন। এছাড়া বাহিনীর নিজস্ব আইনে ৫৭টি মামলায় প্রায় ৬ হাজার জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিলের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। আটজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টে বিচার চলার সময় কারাগারে থাকা অবস্থায় দু’জনের মৃত্যু হয়। খালাস পান ১২ জন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার কারণে মামলার বিচারকাজ অনেক পিছিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ২৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এখন প্রতি মাসে দুই দিন বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ হচ্ছে। এ বছর বিচার শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা মামলার বয়স এখন ১৫ বছর। হত্যা মামলাটির দুই ধাপ শেষ হলেও বিস্ফোরক মামলার বিচারের গতি অত্যন্ত শ্লথ। প্রায় ১৩’শ সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ২৭৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। আগামী ২৮-২৯ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী তারিখ।

তিনি জানান, হত্যা মামলায় হাইকোর্ট ও বিচারিক আদালতের রায়সহ যাবতীয় নথিপত্র আপিল বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। আপিলের সারসংক্ষেপও জমা দেওয়া হয়েছে, কোনো কিছুই বাকি নেই। যেভাবেই হোক ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিচারকের সংখ্যা বাড়িয়ে এবং আলাদা বেঞ্চ গঠন করে এ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, আপিল বিভাগে এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত বিচারক নেই। কয়েক হাজার পৃষ্ঠার আপিল উভয়পক্ষ শুনানি করতে টানা ৩০-৪০ দিন সময় লাগবে। শিগগির আপিল বিভাগে নতুন বিচারক নিয়োগ হবে। এরপর পৃথক বেঞ্চ গঠন হলে শুনানি শুরু হবে পিলখানা হত্যা মামলার শুনানি।