Dhaka ০৭:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারে সরকার গঠনের ঘোষণা বিদ্রোহীদের

মিয়ানমারের উত্তর শান রাজ্যের ৭টি শহরে আগামী বছরের মধ্যে সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী পালাউং স্টেট লিবারেশন ফ্রন্ট (পিএসএলএফ)। পিএসএলএফ হলো টাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) রাজনৈতিক শাখা। গোষ্ঠীটি ১৯৯২ সালে থাইল্যান্ড সীমান্তে গঠিত হয়।

টিএনএলএ দেশটির ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের সদস্য। জোটটির অন্যতম সদস্য মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স এবং আরাকান আর্মি। এই জোট গত বছরের ২৭ অক্টোবর থেকে উত্তর শান রাজ্য থেকে তাদের তৎপরতা শুরু করে। তাদের হাতে এখন পর্যন্ত জান্তার ২০ শহর ও চীন সীমান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক রুটের পতন হয়েছে।

থাইল্যান্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতি বলছে, টিএনএলএ নামসান, মানটং, নামকেম, কুতকাই, নামতু, মংলন এবং মঙ্গজিউয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। পিএসএলএফ স্থানীয়দের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীতে জোর করে যুক্ত হতে বাধ্য হওয়া ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে।

পিএসএফএফের প্রেসিডেন্ট লেফটেনেন্ট জেনারেল টার আইক বং টাআং ন্যাশনাল রেভ্যুলেশন ডে–এর দিন দেওয়া ভাষণে টাআং বাস্তুচ্যুতদের ‘স্বাধীন হওয়া’ অঞ্চলগুলোতে ফিরে এসে পুনর্গঠনে অংশ নিতে আহ্বান জানান।

টার আইক বং ‘স্বাধীন’ অঞ্চলগুলোতে স্বচ্ছতা ও সহজ আইন প্রতিষ্ঠা এবং নতুন নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দেন।

গত জানুয়ারি থেকেই পিএসএলএফ কুতকাই ও নামতুতে নিজেদের প্রশাসনিক কাঠামো তৈরির কাছ শুরু করেছে। টাআং কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা, আইনের শাসন, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে।

পিএসএলএফ এক বিবৃতিতে বলছে, জান্তা সরকারকে হটাতে মিয়ানমারের জনগণের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা উচিত। পাশাপাশি একটি ফেডারেল গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন, যেখানে সব জাতিগোষ্ঠীর মানুষ পারস্পরিক সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে বাস করতে পারে, এমন উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

তাদের দাবি, টাআং জাতিগোষ্ঠী সামরিক শাসন এবং সংঘাতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মিয়ানমারে সরকার গঠনের ঘোষণা বিদ্রোহীদের

আপডেট : ১২:৫৪:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মিয়ানমারের উত্তর শান রাজ্যের ৭টি শহরে আগামী বছরের মধ্যে সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী পালাউং স্টেট লিবারেশন ফ্রন্ট (পিএসএলএফ)। পিএসএলএফ হলো টাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) রাজনৈতিক শাখা। গোষ্ঠীটি ১৯৯২ সালে থাইল্যান্ড সীমান্তে গঠিত হয়।

টিএনএলএ দেশটির ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের সদস্য। জোটটির অন্যতম সদস্য মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স এবং আরাকান আর্মি। এই জোট গত বছরের ২৭ অক্টোবর থেকে উত্তর শান রাজ্য থেকে তাদের তৎপরতা শুরু করে। তাদের হাতে এখন পর্যন্ত জান্তার ২০ শহর ও চীন সীমান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক রুটের পতন হয়েছে।

থাইল্যান্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতি বলছে, টিএনএলএ নামসান, মানটং, নামকেম, কুতকাই, নামতু, মংলন এবং মঙ্গজিউয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। পিএসএলএফ স্থানীয়দের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীতে জোর করে যুক্ত হতে বাধ্য হওয়া ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে।

পিএসএফএফের প্রেসিডেন্ট লেফটেনেন্ট জেনারেল টার আইক বং টাআং ন্যাশনাল রেভ্যুলেশন ডে–এর দিন দেওয়া ভাষণে টাআং বাস্তুচ্যুতদের ‘স্বাধীন হওয়া’ অঞ্চলগুলোতে ফিরে এসে পুনর্গঠনে অংশ নিতে আহ্বান জানান।

টার আইক বং ‘স্বাধীন’ অঞ্চলগুলোতে স্বচ্ছতা ও সহজ আইন প্রতিষ্ঠা এবং নতুন নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দেন।

গত জানুয়ারি থেকেই পিএসএলএফ কুতকাই ও নামতুতে নিজেদের প্রশাসনিক কাঠামো তৈরির কাছ শুরু করেছে। টাআং কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা, আইনের শাসন, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে।

পিএসএলএফ এক বিবৃতিতে বলছে, জান্তা সরকারকে হটাতে মিয়ানমারের জনগণের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা উচিত। পাশাপাশি একটি ফেডারেল গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন, যেখানে সব জাতিগোষ্ঠীর মানুষ পারস্পরিক সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে বাস করতে পারে, এমন উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

তাদের দাবি, টাআং জাতিগোষ্ঠী সামরিক শাসন এবং সংঘাতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।