![](https://71newsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
রমজানকে সামনে রেখে অস্থিরতা খেজুরসহ ইফতারির সামগ্রীতে। আমদানি শুল্ক কমানো পরও উল্টো বেড়েছে খেজুরের দাম। খেজুরের দাম বেড়েছে কেজিতে এক থেকে দেড়শ টাকা। বেড়েছে পেঁয়াজের দামও। নতুন করে না বাড়লেও আগেই দাম বেড়ে আছে ছোলা, ডাল ও চিনি। এসবের দাম নিয়ন্ত্রণে কঠোর বাজার তদারকির পরামর্শ ভোক্তাদের।
খেজুরের মানভেদে দাম বেড়েছে কেজিতে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। কমদামি জাহেদি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায় কেজি দরে। ইফতারির অন্যতম এই অনুষঙ্গটি কিনতে বেগ পেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। যদিও শুল্ক কমানোর কথা বলা হয়েছিলো রাজস্ব বোর্ড থেকে। তবে তার কোন প্রভাব বাজারে নেই বলে জানান ক্রেতারা।
আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমলেও গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছর খেজুরের দাম মানভেদে বেড়েছে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ। কমদামি জাহিদি খেজুরের কেজি ২৫০ টাকা, দাবাস ৪৫০, সুক্কারি, কালমি, মরিয়ম বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা দরে। এছাড়া বাজারে খোলা চিনির কেজি ১৪০ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের লিটারও ১৫৫ টাকা।
এক বিক্রেতা বলেন, ‘যারা এটার হোলসেল নিয়ন্ত্রণ করে, যাদের থেকে আমরা কিনি তারাই বলতে পারবে কতটুকু কমিয়েছে বা কতটুকু বাড়িয়েছে। কিন্তু তুলনামূলকভাবে বাজারে আমার কাছে বেশি মনে হচ্ছে খেজুরের দাম।’
খেজুর কিনতে আসা এক ক্রেতা আক্ষেপ করে বলেন, ‘দাম তো আগেরটাই রাখল। সরকার যে শুল্ক কমাল এর কোনো প্রভাব তো আমরা দেখলাম না। তাহলে এটা অসাধু কাজ।’
নতুন করে না বাড়লেও রমজানে বেশি চাহিদা থাকা ছোলা, ডাল, চিনি আর ভোজতেলের দাম নিয়ে স্বস্তিতে নেই ক্রেতারা। বলছেন জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় এসবের দাম নিয়ে বাড়তি চিন্তায় তারা। চিনির কৃত্রিম সংকটের কথা জানালেন বিক্রেতারা।
এ মৌসুমের পুরোটা জুড়েই টালমাটাল পেঁয়াজের বাজার। মাঝে কিছুটা কমলেও আবার বাড়ছে এর দাম, গত এক সপ্তাহে সব ধরণের পেঁয়াজের দামই কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ১শ’ থেকে ১৩০ টাকায়।
এক বিক্রেতা বলেন, ‘নরমাল পেঁয়াজ ১১০ টাকা ১১২ টাকা। আর ভালোটা ১১৫ টাকা। আমরা নিয়ে এসে বেছে বড়টা ১৩০ টাকা আর ছোটটা ১২০ টাকা বিক্রি করি। লাভ তেমন হয় না। কেজিতে মাত্র ৫টা লাভ থাকে।’
পণ্যের অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণের সরকারের কঠোর পদক্ষেপের দাবি ভোক্তাদের সংগঠন-ক্যাব। সংগঠনটির সহ সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘আমদানিকারক অথবা উৎপাদক হোলসেল ডিস্ট্রিবিউটার বা পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতা এই তিনটা টায়ারে সমন্বিতভাবে নজরদারিটা দরকার। পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারে বলে যে আমি তো বেশি দামে কিনেছি।’
বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। ৭৫০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার ২১০ টাকা এবং সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ টাকা কেজি।