০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়ছে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম, ১ মার্চ থেকে কার্যকর

একবছর পর ভোক্তা পর্যায়ে বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। আগামী ১ মার্চ থেকে গড়ে ৭ শতাংশ হারে দাম বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলে জানান তিনি।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘ডলারের যে ডিফারেন্স হয়ে গেছে, টাকা যে মূল্য হারিয়েছে এতে একটা বড় পরিমাণ ডিফারেন্স হয়ে গেছে আমাদের প্রাইসিংয়ের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দামে। এটাকে সমন্বয় করতে হবে। আমরা সমন্বয় করতে চাই। আমি কিন্তু বারবার একটা কথা বলে আসছি, আমরা দাম বাড়াচ্ছি না। আমরা সমন্বয় করছি।’

প্রতিমন্ত্রী জানান, পাইকারি পর্যায়েও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। তবে ভোক্তাদের ওপর যাতে খুব বেশি প্রভাব না পড়ে, সেভাবেই বাড়ানো হবে দাম।

নসরুল হামিদ জানান, ব্যবহারের পরিমাণ অনুযায়ী তিনটি স্তরে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ হবে। মাসে ২০০ ইউনিটের কম ব্যবহার করলে প্রতি ইউনিটে ৩০ পয়সা বাড়বে। মাসে ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারকারীদের, প্রতি ইউনিটে ৭০ থেকে ৮০ পয়সা বেশি দিতে হবে।

গত বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রতি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ করে বাড়ানো হয়। ভর্তুকির চাপ সামলাতে আগামী ৩ বছর বিদ্যুতের দাম এভাবে সমন্বয় করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

এদিকে, রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রতিমন্ত্রী সংসদকে জানান, এলপিজি আমদানি নির্ভর হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না কমলে রেগুলেটরি কমিশনের বাজারে বেসরকারি এলপিজির দাম কমবে না।

স্বতন্ত্র সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। নসরুল হামিদ বলেন, প্রতি কেজি বেসরকারি এলপিজির দাম ১২২ টাকা ৮৬ পয়সা। সে অনুযায়ী বহুল ব্যবহৃত বেসরকারি ১২ কেজি এলপিজি গ্যাসের দাম এক হাজার ৪৭৪ টাকা।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশে এলপিজি গ্যাস আরও সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করার জন্য মহেশখালীর মাতারবাড়ি এলাকায় বৃহদাকার এলপিজি টার্মিনাল ও চট্টগ্রামের লতিফপুর মৌজায় বটলিং প্ল্যান্ট নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এছাড়া, বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট স্থাপনে উৎসাহ দিতে নীতিমালা সংশোধনের কার্যক্রম চলছে।

বাড়ছে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম, ১ মার্চ থেকে কার্যকর

আপডেট : ০৭:৩১:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

একবছর পর ভোক্তা পর্যায়ে বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। আগামী ১ মার্চ থেকে গড়ে ৭ শতাংশ হারে দাম বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলে জানান তিনি।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘ডলারের যে ডিফারেন্স হয়ে গেছে, টাকা যে মূল্য হারিয়েছে এতে একটা বড় পরিমাণ ডিফারেন্স হয়ে গেছে আমাদের প্রাইসিংয়ের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দামে। এটাকে সমন্বয় করতে হবে। আমরা সমন্বয় করতে চাই। আমি কিন্তু বারবার একটা কথা বলে আসছি, আমরা দাম বাড়াচ্ছি না। আমরা সমন্বয় করছি।’

প্রতিমন্ত্রী জানান, পাইকারি পর্যায়েও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। তবে ভোক্তাদের ওপর যাতে খুব বেশি প্রভাব না পড়ে, সেভাবেই বাড়ানো হবে দাম।

নসরুল হামিদ জানান, ব্যবহারের পরিমাণ অনুযায়ী তিনটি স্তরে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ হবে। মাসে ২০০ ইউনিটের কম ব্যবহার করলে প্রতি ইউনিটে ৩০ পয়সা বাড়বে। মাসে ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারকারীদের, প্রতি ইউনিটে ৭০ থেকে ৮০ পয়সা বেশি দিতে হবে।

গত বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রতি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ করে বাড়ানো হয়। ভর্তুকির চাপ সামলাতে আগামী ৩ বছর বিদ্যুতের দাম এভাবে সমন্বয় করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

এদিকে, রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রতিমন্ত্রী সংসদকে জানান, এলপিজি আমদানি নির্ভর হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না কমলে রেগুলেটরি কমিশনের বাজারে বেসরকারি এলপিজির দাম কমবে না।

স্বতন্ত্র সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। নসরুল হামিদ বলেন, প্রতি কেজি বেসরকারি এলপিজির দাম ১২২ টাকা ৮৬ পয়সা। সে অনুযায়ী বহুল ব্যবহৃত বেসরকারি ১২ কেজি এলপিজি গ্যাসের দাম এক হাজার ৪৭৪ টাকা।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশে এলপিজি গ্যাস আরও সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করার জন্য মহেশখালীর মাতারবাড়ি এলাকায় বৃহদাকার এলপিজি টার্মিনাল ও চট্টগ্রামের লতিফপুর মৌজায় বটলিং প্ল্যান্ট নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এছাড়া, বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট স্থাপনে উৎসাহ দিতে নীতিমালা সংশোধনের কার্যক্রম চলছে।