ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

যুদ্ধে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত: জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৪:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৫৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার পুরোদস্তুর সামরিক আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দু’বছরে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। এটি কিয়েভের সামরিক ক্ষয়ক্ষতির ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর দুই বছর পূর্তির একদিন পর রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) যুদ্ধে সৈন্য হারানোর এই হিসাব দিলেন জেলেনস্কি। খবর সিএনএন।

রাজধানী কিয়েভে এক ফোরাম আলোচনায় জেলেনস্কি বলেন, ‘প্রতিটি জীবন ইউক্রেনের জন্য পরম ত্যাগের বিষয়।’ তিনি আরও জানান, ১০ হাজারেরও বেশি বেসামরিক লোক দখলকৃত এলাকাগুলোতে প্রাণ হারিয়েছেন। তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জানা সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। খবর আলজাজিরার।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম কিয়েভ প্রাণহানির এই সংখ্যা প্রকাশ করল।

অন্যদিকে রাশিয়াও সরকারিভাবে হাতাহতের কিছু সংখ্যা প্রকাশ করেছে। স্বাধীন রুশ সংবাদমাধ্যম মিডিয়াজোনা গত শনিবার জানায়, ২০২২ ও ২০২৩ সালের যুদ্ধে রাশিয়ার ৭৫ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোপন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার তিন লাখ ১৫ হাজার সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে এই সংখ্যা যুদ্ধে অংশ নেওয়া তিন লাখ ৬০ হাজার সৈন্যের প্রায় ৮৭ শতাংশ।

রুশ আগ্রাসনের দুই বছর পূর্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটছে ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর অব্যাহত সমর্থন, নতুন দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তি আর নতুন করে সাহায্যের প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে। তবে এ বিষয়ে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষমন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ পশ্চিমাদের প্রতিশ্রুত অস্ত্রের চালান দ্রুত সরবরাহের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, সরবরাহ করতে দেরি হলে তার মূল্য দিতে হয় জীবন দিয়ে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সম্মুখ যুদ্ধের তীব্রতা আরও বেড়েছে। গতকাল রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক রকেট হামরা চালানো হয়। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, জাপোরিঝিয়া ও খেরসোন প্রদেশে রাশিয়ার হামলায় দুজন বেসামরিক লোক নিহত এবং আরও আটজন আহত হয়েছে।

এ ছাড়া রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশই একে অন্যের ভূখণ্ডে রাতের বেলায় ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। গতকাল রাতে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে রাশিয়ার পাঠানো ১৬টি ড্রোন ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এই ড্রোনগুলো ছিল ইরানের তৈরি শাহেদ মডেলের।

অব্যাহত রুশ হামলার মুখে গতকাল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ চালাতে পরিষ্কার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তবে এক্ষেত্রে তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি থাকায় পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেননি তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুদ্ধে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত: জেলেনস্কি

আপডেট সময় : ০৮:৩৪:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার পুরোদস্তুর সামরিক আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দু’বছরে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। এটি কিয়েভের সামরিক ক্ষয়ক্ষতির ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর দুই বছর পূর্তির একদিন পর রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) যুদ্ধে সৈন্য হারানোর এই হিসাব দিলেন জেলেনস্কি। খবর সিএনএন।

রাজধানী কিয়েভে এক ফোরাম আলোচনায় জেলেনস্কি বলেন, ‘প্রতিটি জীবন ইউক্রেনের জন্য পরম ত্যাগের বিষয়।’ তিনি আরও জানান, ১০ হাজারেরও বেশি বেসামরিক লোক দখলকৃত এলাকাগুলোতে প্রাণ হারিয়েছেন। তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জানা সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। খবর আলজাজিরার।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম কিয়েভ প্রাণহানির এই সংখ্যা প্রকাশ করল।

অন্যদিকে রাশিয়াও সরকারিভাবে হাতাহতের কিছু সংখ্যা প্রকাশ করেছে। স্বাধীন রুশ সংবাদমাধ্যম মিডিয়াজোনা গত শনিবার জানায়, ২০২২ ও ২০২৩ সালের যুদ্ধে রাশিয়ার ৭৫ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোপন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার তিন লাখ ১৫ হাজার সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে এই সংখ্যা যুদ্ধে অংশ নেওয়া তিন লাখ ৬০ হাজার সৈন্যের প্রায় ৮৭ শতাংশ।

রুশ আগ্রাসনের দুই বছর পূর্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটছে ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর অব্যাহত সমর্থন, নতুন দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তি আর নতুন করে সাহায্যের প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে। তবে এ বিষয়ে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষমন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ পশ্চিমাদের প্রতিশ্রুত অস্ত্রের চালান দ্রুত সরবরাহের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, সরবরাহ করতে দেরি হলে তার মূল্য দিতে হয় জীবন দিয়ে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সম্মুখ যুদ্ধের তীব্রতা আরও বেড়েছে। গতকাল রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক রকেট হামরা চালানো হয়। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, জাপোরিঝিয়া ও খেরসোন প্রদেশে রাশিয়ার হামলায় দুজন বেসামরিক লোক নিহত এবং আরও আটজন আহত হয়েছে।

এ ছাড়া রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশই একে অন্যের ভূখণ্ডে রাতের বেলায় ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। গতকাল রাতে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে রাশিয়ার পাঠানো ১৬টি ড্রোন ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এই ড্রোনগুলো ছিল ইরানের তৈরি শাহেদ মডেলের।

অব্যাহত রুশ হামলার মুখে গতকাল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ চালাতে পরিষ্কার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তবে এক্ষেত্রে তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি থাকায় পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেননি তিনি।