ঢাকা ১০:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট নিয়ে সংসদে ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:২২:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪০৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দ্রব্যমূল্য ও বাজার সিন্ডিকেট ইস্যুতে সংসদে ক্ষোভ ঝাড়লেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। মঙ্গলবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।

বিরোধী দলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সংসদে বলেন, ‘কারা কারসাজি করে দ্রব্যমূল্য বাড়ায় তা সবার জানা। প্রত্যেকদিন সকালে তারা (সিন্ডিকেট) মোবাইলের মাধ্যমে রেট ফিক্স করে দেয়। চিনির, ডিমের, মাংসের, তেলের এমনকি তাজা শাক সবজি ও ফলের। এতোই শক্তিশালী।’

ব্যবসায়ীদের এই অসাধু সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেন তিনি। এ সময় গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কড়া সমালোচনা করেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারবে কী না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। মার্কেটে জিনিস আছে আপনারাই (সরকার) বলেন, তারপরেও কিন্তু রাতারাতি দাম বৃদ্ধি হয়ে যায়। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে পারবেন কী না?’

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, মানুষ একটা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে আছে। বাজারে গেলে সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্যের কারণে হিমশিম খাচ্ছে। এর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো সুপারভিশনও নেই। মানুষ খুব অসহনীয় জীবনযাপন করছে।

তিনি বলেন, এই অবস্থার মধ্যে মাত্র নির্বাচনটা গেলো, আজকেই দেখলাম সরকার বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা বৃদ্ধি করেছে। গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। কারণটা বলেছে ডলারের ডিভ্যালুয়েশন এবং ভর্তুকি কমানো। প্রশ্ন হলো, আপনারা বাড়াবেন, ভদ্রভাষায় বলছেন সমন্বয়। সমন্বয় করা কিন্তু আসলে মূল্যবৃদ্ধি।

মুজিবুল হক বলেন, আমরা জানি না বিদ্যুতের পার ইউনিট সরকারের উৎপাদন বা কিনতে খরচ কত হয় গড়ে। সবসময় বলে আসছেন হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। ভর্তুকি কমাতে হবে। আগামী তিন বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি কমাবেন। কমাবেন কমান। কিন্তু কীভাবে কমাবেন? জনগণ নিষ্পেষিত, বাজারে যেতে পারছে না। বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যুতের দাম বাড়া মানে এর সঙ্গে অনেক জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাবে। কারণ বিদ্যুতের সঙ্গে অনেক জিনিসের উৎপাদন জড়িত।

অধিবেশনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার জন্য সরকার বদ্ধ পরিকর। আমার বিশ্বাস সিন্ডিকেট ভাঙাও সম্ভব।’

নিউজটি শেয়ার করুন

দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট নিয়ে সংসদে ক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৫:২২:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দ্রব্যমূল্য ও বাজার সিন্ডিকেট ইস্যুতে সংসদে ক্ষোভ ঝাড়লেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। মঙ্গলবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।

বিরোধী দলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সংসদে বলেন, ‘কারা কারসাজি করে দ্রব্যমূল্য বাড়ায় তা সবার জানা। প্রত্যেকদিন সকালে তারা (সিন্ডিকেট) মোবাইলের মাধ্যমে রেট ফিক্স করে দেয়। চিনির, ডিমের, মাংসের, তেলের এমনকি তাজা শাক সবজি ও ফলের। এতোই শক্তিশালী।’

ব্যবসায়ীদের এই অসাধু সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেন তিনি। এ সময় গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কড়া সমালোচনা করেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারবে কী না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। মার্কেটে জিনিস আছে আপনারাই (সরকার) বলেন, তারপরেও কিন্তু রাতারাতি দাম বৃদ্ধি হয়ে যায়। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে পারবেন কী না?’

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, মানুষ একটা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে আছে। বাজারে গেলে সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্যের কারণে হিমশিম খাচ্ছে। এর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো সুপারভিশনও নেই। মানুষ খুব অসহনীয় জীবনযাপন করছে।

তিনি বলেন, এই অবস্থার মধ্যে মাত্র নির্বাচনটা গেলো, আজকেই দেখলাম সরকার বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা বৃদ্ধি করেছে। গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। কারণটা বলেছে ডলারের ডিভ্যালুয়েশন এবং ভর্তুকি কমানো। প্রশ্ন হলো, আপনারা বাড়াবেন, ভদ্রভাষায় বলছেন সমন্বয়। সমন্বয় করা কিন্তু আসলে মূল্যবৃদ্ধি।

মুজিবুল হক বলেন, আমরা জানি না বিদ্যুতের পার ইউনিট সরকারের উৎপাদন বা কিনতে খরচ কত হয় গড়ে। সবসময় বলে আসছেন হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। ভর্তুকি কমাতে হবে। আগামী তিন বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি কমাবেন। কমাবেন কমান। কিন্তু কীভাবে কমাবেন? জনগণ নিষ্পেষিত, বাজারে যেতে পারছে না। বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যুতের দাম বাড়া মানে এর সঙ্গে অনেক জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাবে। কারণ বিদ্যুতের সঙ্গে অনেক জিনিসের উৎপাদন জড়িত।

অধিবেশনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার জন্য সরকার বদ্ধ পরিকর। আমার বিশ্বাস সিন্ডিকেট ভাঙাও সম্ভব।’