ঢাকা ০১:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশে ২০ বিলিয়নের ওপরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:২৮:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কারেন্সি সোয়াপ বা মুদ্রার অদল-বদলের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকে ৫৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার জমা দিয়ে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে ১২টি ব্যাংক। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের ২০ বিলিয়নের ওপরে উঠেছে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অন্য ব্যাংকগুলোর কারেন্সি সোয়াপ চালু হয়। কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে টাকা বা ডলার রেখে ৭ থেকে ৯০ দিনের জন্য বিপরীত মুদ্রা নিতে পারে ব্যাংকগুলো। যে মুদ্রা নেওয়া হয় নির্ধারিত মেয়াদ শেষে সুদসহ তা মুদ্রা ফেরত দিতে হয়। সোয়াপের ক্ষেত্রে সুদহারের হিসাব হয় রেপো এবং ডলারের তিন মাস মেয়াদি বেঞ্চমার্ক রেট এসওএফআরের মধ্যকার পার্থক্যের ভিত্তিতে। বর্তমানে রেপোর সুদহার ৮ শতাংশ এবং এসওএফআর ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ফলে ব্যাংকগুলো এখন ডলার রেখে ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ সুদ পাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, এখন পর্যন্ত কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতিতে ১২টি ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ৫৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেখেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ঠিক করা ১১০ টাকা দামের বিপরীতে ব্যাংকগুলো নিয়েছে ৬ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেসব ব্যাংকের কাছে টাকা ও ডলার সংকট কাটানোর জন্য ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মতো উপকরণ নেই তারাই ডলার জমা দিয়ে সোয়াপ পদ্ধতিতে টাকা নিচ্ছে। ফলে রিজার্ভের পরিমাণও বাড়ছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে রিজার্ভ কমে ১৯ বিলিয়নের ঘরে নামে। সোয়াপ কারেন্সির ফলে সেই রিজার্ভ গতকাল মঙ্গলবার ২০ বিলিয়নের ওপরে উঠেছে। যদিও নিট রিজার্ভে এটা যোগ হবে না। তবে গ্রস রিজার্ভে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটা দেখাতে পারছে।

২০২১ সালের আগস্টে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। সরকারের সার, জ্বালানি, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য রিজার্ভ থেকে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতেই কমে যায় রিজার্ভ।

এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের জন্য বিভিন্ন শর্ত মানতে হচ্ছে। শর্ত অনুযায়ী আগামী মার্চে নিট রিজার্ভ রাখতে হবে ১৯ দশমিক ২৬ ও জুনে ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশে ২০ বিলিয়নের ওপরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

আপডেট সময় : ০৭:২৮:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কারেন্সি সোয়াপ বা মুদ্রার অদল-বদলের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকে ৫৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার জমা দিয়ে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে ১২টি ব্যাংক। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের ২০ বিলিয়নের ওপরে উঠেছে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অন্য ব্যাংকগুলোর কারেন্সি সোয়াপ চালু হয়। কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে টাকা বা ডলার রেখে ৭ থেকে ৯০ দিনের জন্য বিপরীত মুদ্রা নিতে পারে ব্যাংকগুলো। যে মুদ্রা নেওয়া হয় নির্ধারিত মেয়াদ শেষে সুদসহ তা মুদ্রা ফেরত দিতে হয়। সোয়াপের ক্ষেত্রে সুদহারের হিসাব হয় রেপো এবং ডলারের তিন মাস মেয়াদি বেঞ্চমার্ক রেট এসওএফআরের মধ্যকার পার্থক্যের ভিত্তিতে। বর্তমানে রেপোর সুদহার ৮ শতাংশ এবং এসওএফআর ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ফলে ব্যাংকগুলো এখন ডলার রেখে ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ সুদ পাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, এখন পর্যন্ত কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতিতে ১২টি ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ৫৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেখেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ঠিক করা ১১০ টাকা দামের বিপরীতে ব্যাংকগুলো নিয়েছে ৬ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেসব ব্যাংকের কাছে টাকা ও ডলার সংকট কাটানোর জন্য ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মতো উপকরণ নেই তারাই ডলার জমা দিয়ে সোয়াপ পদ্ধতিতে টাকা নিচ্ছে। ফলে রিজার্ভের পরিমাণও বাড়ছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে রিজার্ভ কমে ১৯ বিলিয়নের ঘরে নামে। সোয়াপ কারেন্সির ফলে সেই রিজার্ভ গতকাল মঙ্গলবার ২০ বিলিয়নের ওপরে উঠেছে। যদিও নিট রিজার্ভে এটা যোগ হবে না। তবে গ্রস রিজার্ভে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটা দেখাতে পারছে।

২০২১ সালের আগস্টে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। সরকারের সার, জ্বালানি, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য রিজার্ভ থেকে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতেই কমে যায় রিজার্ভ।

এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের জন্য বিভিন্ন শর্ত মানতে হচ্ছে। শর্ত অনুযায়ী আগামী মার্চে নিট রিজার্ভ রাখতে হবে ১৯ দশমিক ২৬ ও জুনে ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার।