‘অজানা আতঙ্কে আবারও গ্রেপ্তার-নির্যাতন শুরু করেছে ‘ডামি সরকার’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘এই আওয়ামী দখলদার সরকার একটি ডামি নির্বাচন করার জন্য বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীদের আটক করে রেখেছে। তারা আন্দোলনের ভয়ে এই নেতাকর্মীদের আটক করেছে। এখন আবার তারা নতুন করে গ্রেপ্তার শুরু করেছে, নির্যাতন শুরু করেছে।’
আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সদ্য কারামুক্ত কৃষকদলের যুগ্ম সম্পাদক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশসহ কারামুক্ত নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার কারাগার ছিল বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারের মতো। সেখানে একটা মানুষের বেঁচে থাকার ন্যূনতম যে অধিকার, সেটা শেখ হাসিনা দেয় নাই। এই তীব্র শীতের মধ্যেও তাদেরকে একটা করে কম্বল দেওয়া হয়নি। বালু মেশানো ভাত খেতে দিয়েছে। জেলের মধ্যে নিয়েও বিএনপি নেতাকর্মীদের এভাবে নিপীড়ন-নির্যাতন করা হয়েছে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘নেতাকর্মীদের কারা সেলে ২৪ ঘণ্টা বন্দি করে লকআপে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। কৃষকদলের পলাশ কিছুদিন আগে বের হয়েছে। তার ওপর ভীষণভাবে নিপীড়ন-নির্যাতন করা হয়েছে। জেলের মধ্যে তারা নির্যাতন করেছে এই কারণে যে, যারা বাইরে আছে তারা যেন ভয় পায়। কিন্তু, এক ভাই নির্যাতনের শিকার হলে অন্য ভাইয়ের ভেতরে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়, সে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। এটা সরকার বুঝতে পারেনি।’
রিজভী বলেন, ‘কৃষকদল নেতা পলাশ, ছাত্রদল নেতা রানা এবং আরও বেশ কয়েকজন মুক্ত হলেও তারা আরও বড় বন্দিশালায় আবদ্ধ হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে তাদেরকে আবার গ্রেপ্তার করতে পারে। মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা, যার ভাইকে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী মেরে ফেলেছে, সেই বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাই ইশতিয়াক আজিজকে বিনা কারণে পুলিশ আটক করে পল্টন থানায় নিয়ে গেছে। এগুলো করছে ভয়ে, যাতে বিএনপি আবার আন্দোলন করতে না পারে।’
এ সময় বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মুনির হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, পল্টন থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আলম পাটোয়ারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক মাসুদ রানা ও যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।