খাদ্য প্রবেশ বন্ধ, দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে গাজাবাসী
- আপডেট সময় : ০৮:২৫:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৪১২ বার পড়া হয়েছে
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় খাদ্যসহ অন্যান্য ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। ফলে গাজায় অন্তত ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসুচি মঙ্গলবার সতর্ক করে বলেছে, ফিলিস্তিনি গ্রুপ হামাসের ওপর ইসরায়েল যুদ্ধ অব্যাহত রাখার কারণে ‘উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘আসন্ন।’ কারণ সেখানে ২৩ জানুয়ারি থেকে কোনো মানবিক গোষ্ঠী সাহায্য পাঠাতে পারেনি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গাজায় ফিলিস্তিনিরা যখন খাদ্য সংগ্রহে বিভিন্ন ত্রাণের ট্রাকের সামনে জড়ো হয়, তখন ইসরায়েলি বাহিনী ওই ভিড় লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে কি না তা জানা যায়নি। এদিকে ইসরায়েল গাজার একটি ছাড়া বাকি সব ক্রসিং পয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে অঞ্চলটিতে খাদ্য সংকট ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থার (ওসিএইচএ) উপপ্রধান রমেশ রাজাসিংহাম নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারির শেষ সময়ে এসে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, গাজার জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ—৫ লাখ ৭৬ হাজার—দুর্ভিক্ষ থেকে মাত্র এক কদম দূরে।’
গাজার খাদ্য সংকটের ফলাফল উল্লেখ করতে গিয়ে রমেশ বলেছেন, গাজার প্রতি ৬ জন শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। গাজায় ২৩ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য যে পরিমাণ খাদ্য রয়েছে তা নিতান্তই অপ্রতুল। তার কথায়, ‘তারপরও কিছু করা হচ্ছে না। আমরা আশঙ্কা করছি, গাজার দুর্ভিক্ষ এড়ানোর আর কোনো উপায় নেই বললেই চলে। এই সংঘর্ষে আরও বহু মানুষ হতাহত হবে।’
রাজাসিংহাম জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাধার কারণে জাতিসংঘ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো গাজায় ন্যূনতম ত্রাণ সরবরাহ করতে অপ্রতিরোধ্য বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে—ক্রসিং বন্ধ করে দেয়া, চলাচল ও যোগাযোগের ওপর বিধিনিষেধ, কঠোর যাচাই বাছাই পদ্ধতি, যুদ্ধ, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ও অবিস্ফোরিত অস্ত্র অন্যতম কারণ।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের এক মুখপাত্র মঙ্গলবারও বলেছেন, সীমান্তে সাহায্য প্রস্তুত এবং প্রবেশের অপেক্ষায় আছে।
স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডব্লিউএফপি সহকর্মীরাও আমাদের জানান, গাজা সীমান্তে তাদের ত্রাণবাহী গাড়ী প্রবেশের অপেক্ষা করছে। কিছু শর্ত সাপেক্ষে তারা ২২ লক্ষ লোককে খাদ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হবে।’
তিনি বলেনে, ‘১৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য বহনকারী প্রায় ১ হাজার ট্রাক মিশরে অবস্থান করছে, শুধু প্রবেশের প্রবেশের অপেক্ষায় আছে।