পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হবে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের প্যারেড গ্র্যাউন্ডে ‘আইজিপি’স এক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ (আইজি’জ ব্যাজ) ও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ইউনিটদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
আইজিপি বলেন, আমাদের কোনো সদস্য যদি মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের চেয়েও বেশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মাদকের সংশ্লিষ্টতা থাকলে শুধু মামলা দেওয়া হয়। আর পুলিশ সদস্যদের শুধু মাদক খাওয়ার প্রমাণ থাকলেই চাকরি থাকবে না। চাকরিও যাবে মামলাও হবে।
তিনি বলেন, নিয়োগের সময় আমরা প্রতিটি সদস্যকে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে থাকি। যারা মাদকাসক্ত তাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি, মাদকাসক্ত হলে কেউ চাকরি পাবে না।
পুলিশপ্রধান বলেন, মাদক ও দুর্নীতি সমাজের নীরব ঘাতক। মাদকবিরোধী অভিযানে বাংলাদেশ পুলিশ জয়ী হবে। জঙ্গী-সন্ত্রাস যেভাবে নিয়ন্ত্রণে এনেছে, যেভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণেও সফল হতে হবে। সবাইকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। জঙ্গি-মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি রয়েছে। যেকোনো ঘটনা ঘটলে দ্রুততম সময়ে আমরা অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।
দেশের মানুষ যাতে সহজে, নির্ভয়ে থানায় আসতে পারে, তাদের সমস্যার কথা বলতে পারে সেটি নিশ্চিতের তাগিদ দেন সবাইকে।
নিরীহ ও অসহায়দের যে কোনো সমস্যার সমাধান যাতে থানাতেই সমাধান করে দেয়া হয় সেই আহবান জানান পুলিশ প্রধান। বাংলাদেশে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই জানিয়ে আইজিপি বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদে এরইমধ্যে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়েছে।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের 'সোনার বাংলা' তথা প্রধানমন্ত্রীর 'স্মার্ট বাংলাদেশে' মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের প্রযুক্তিনির্ভর, গণমুখী, সেবামুখী, জনবান্ধব তথা নারী ও শিশুবান্ধব বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।