০২:১১ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭২০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ

ডলার সংকটে আছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৭২০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। বৈদেশিক এ ঋণের পরিমাণ গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি। নতুন এই ঋণ পাওয়ার প্রতিশ্রুতি বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ৬ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা ছিল, চলতি অর্থবছরে এই ঋণের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে এবং সেই অর্থ দ্রুত ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনীতিতে এর সুফল মিলবে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই তহবিল ব্যবহারও উদ্বেগের বিষয়। কারণ চলতি অর্থবছরে ১১ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সাত মাসে মাত্র ৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ব্যবহার করতে পেরেছে বাংলাদেশ।

লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সরকারকে পাঁচ মাসের মধ্যে ৬ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হবে। তবে সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘাটতির কারণে পাঁচ মাসের মধ্যে এই অর্থ ব্যয় করা কঠিন হতে পারে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যবহৃত বিদেশি তহবিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৭ বিলিয়ন ডলারে। গত বছরের জুন পর্যন্ত এর পরিমাণ ছিল ৪৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।

৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ২ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার জাপান এবং বিশ্বব্যাংক ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার দেবে। অন্যান্য ঋণদাতাদের কাছ থেকে বাকি ১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারির মধ্যে কেবল ১ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল বাংলাদেশ।

সাম্প্রতিক এই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, এডিবি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবহন, শক্তি খাত এবং স্থানীয় সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার জন্য ১০টি প্রকল্পের অর্থায়ন করবে। এডিবি উচ্চ মানসম্পন্ন টিকা গবেষণা ও উৎপাদনের জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব স্থাপনের জন্য ৩৩৬ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্পের অর্থায়ন করার প্রস্তাব দিয়েছে। ঢাকা- নর্থওয়েস্ট করিডোরের ১৯০ কিলোমিটার উন্নয়নের জন্য একটি উপ-আঞ্চলিক পরিবহন ও বাণিজ্য উন্নয়নে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রতি দিয়েছে।

এছাড়া এডিবি বাড়িতে প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় রোধে ‘স্মার্ট মিটারিং এনার্জি এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’– এর জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলার দেবে। উৎপাদন খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং শিল্প খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য তিনটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে ১০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে। রাঙামাটি, বান্দরবান ও লামা পৌরসভায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকল্পের জন্য প্রায় ৯০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে। দুটি প্রকল্পের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ আরও ৪৯০ মিলিয়ন ডলার পাবে।

জাপানের ২ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার চলমান দুটি প্রকল্পে যাবে। এর মধ্যে একটি মাতারবাড়িতে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র। অন্য প্রকল্পটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের জন্য।

বিশ্বব্যাংক দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা খাতে উন্নয়নের মাধ্যমে তরুণদের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার দেবে।

এই অর্থবছরে জুলাই থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ ৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশি তহবিল ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে এডিবি ১ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার, জাপান ৮৮৪ মিলিয়ন ডলার, বিশ্বব্যাংক ৭৬৩ মিলিয়ন ডলার, রাশিয়া ৫৮৮ মিলিয়ন ডলার, চীন ৩৬১ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ১৬৯ মিলিয়ন ডলার তহবিল দিয়েছে। অন্যান্য ঋণদাতারা বাকি অর্থ প্রদান করেছে।

এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী বলেন, বিদেশি তহবিল বিতরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করে।

গত রোববার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও সফররত বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যানা বিজার্ডের মধ্যে সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। এই সাক্ষাৎকারের পর ইআরডি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ঋণ তহবিলের আরও বেশি ব্যবহার বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন অংশীদার এবং তাদের প্রধান কার্যালয়ের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করছি।’

একজন ইআরডি কর্মকর্তা জানান, গত দুই অর্থবছরে প্রতিটিতেই তাঁরা ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিদেশি তহবিল ব্যবহার করেছে। আগে যেখানে বছরে ৭ বিলিয়ন ডলার ব্যবহার করা হতো। চলতি অর্থবছরের শেষ পাঁচ মাসে আরও ৩ বিলিয়ন থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ প্রতিশ্রুতির আশা করা হচ্ছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

চলতি অর্থবছরে সরকারের বিদেশি ঋণ পরিশোধের পরিমাণও বেড়েছে। এ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে সরকার। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে সরকার পরিশোধ করেছে ১৮৫ কোটি ডলার। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে যা ছিল ১২৮ কোটি ডলার।

আন্তর্জাতিক ঋণের পরিমাণ ও ঋণের সুদহার বাড়ায় বিদেশি ঋণ পাওয়ার শর্তকে কঠিন করছে বলে মনে করেন ইআরডি কর্মকর্তারা।

৭২০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ

আপডেট : ০৭:২৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ডলার সংকটে আছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৭২০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। বৈদেশিক এ ঋণের পরিমাণ গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি। নতুন এই ঋণ পাওয়ার প্রতিশ্রুতি বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ৬ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা ছিল, চলতি অর্থবছরে এই ঋণের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে এবং সেই অর্থ দ্রুত ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনীতিতে এর সুফল মিলবে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই তহবিল ব্যবহারও উদ্বেগের বিষয়। কারণ চলতি অর্থবছরে ১১ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সাত মাসে মাত্র ৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ব্যবহার করতে পেরেছে বাংলাদেশ।

লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সরকারকে পাঁচ মাসের মধ্যে ৬ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হবে। তবে সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘাটতির কারণে পাঁচ মাসের মধ্যে এই অর্থ ব্যয় করা কঠিন হতে পারে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যবহৃত বিদেশি তহবিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৭ বিলিয়ন ডলারে। গত বছরের জুন পর্যন্ত এর পরিমাণ ছিল ৪৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।

৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ২ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার জাপান এবং বিশ্বব্যাংক ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার দেবে। অন্যান্য ঋণদাতাদের কাছ থেকে বাকি ১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারির মধ্যে কেবল ১ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল বাংলাদেশ।

সাম্প্রতিক এই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, এডিবি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবহন, শক্তি খাত এবং স্থানীয় সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার জন্য ১০টি প্রকল্পের অর্থায়ন করবে। এডিবি উচ্চ মানসম্পন্ন টিকা গবেষণা ও উৎপাদনের জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব স্থাপনের জন্য ৩৩৬ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্পের অর্থায়ন করার প্রস্তাব দিয়েছে। ঢাকা- নর্থওয়েস্ট করিডোরের ১৯০ কিলোমিটার উন্নয়নের জন্য একটি উপ-আঞ্চলিক পরিবহন ও বাণিজ্য উন্নয়নে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রতি দিয়েছে।

এছাড়া এডিবি বাড়িতে প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় রোধে ‘স্মার্ট মিটারিং এনার্জি এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’– এর জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলার দেবে। উৎপাদন খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং শিল্প খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য তিনটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে ১০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে। রাঙামাটি, বান্দরবান ও লামা পৌরসভায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকল্পের জন্য প্রায় ৯০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে। দুটি প্রকল্পের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ আরও ৪৯০ মিলিয়ন ডলার পাবে।

জাপানের ২ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার চলমান দুটি প্রকল্পে যাবে। এর মধ্যে একটি মাতারবাড়িতে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র। অন্য প্রকল্পটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের জন্য।

বিশ্বব্যাংক দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা খাতে উন্নয়নের মাধ্যমে তরুণদের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার দেবে।

এই অর্থবছরে জুলাই থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ ৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশি তহবিল ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে এডিবি ১ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার, জাপান ৮৮৪ মিলিয়ন ডলার, বিশ্বব্যাংক ৭৬৩ মিলিয়ন ডলার, রাশিয়া ৫৮৮ মিলিয়ন ডলার, চীন ৩৬১ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ১৬৯ মিলিয়ন ডলার তহবিল দিয়েছে। অন্যান্য ঋণদাতারা বাকি অর্থ প্রদান করেছে।

এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী বলেন, বিদেশি তহবিল বিতরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করে।

গত রোববার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও সফররত বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যানা বিজার্ডের মধ্যে সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। এই সাক্ষাৎকারের পর ইআরডি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ঋণ তহবিলের আরও বেশি ব্যবহার বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন অংশীদার এবং তাদের প্রধান কার্যালয়ের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করছি।’

একজন ইআরডি কর্মকর্তা জানান, গত দুই অর্থবছরে প্রতিটিতেই তাঁরা ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিদেশি তহবিল ব্যবহার করেছে। আগে যেখানে বছরে ৭ বিলিয়ন ডলার ব্যবহার করা হতো। চলতি অর্থবছরের শেষ পাঁচ মাসে আরও ৩ বিলিয়ন থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ প্রতিশ্রুতির আশা করা হচ্ছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

চলতি অর্থবছরে সরকারের বিদেশি ঋণ পরিশোধের পরিমাণও বেড়েছে। এ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে সরকার। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে সরকার পরিশোধ করেছে ১৮৫ কোটি ডলার। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে যা ছিল ১২৮ কোটি ডলার।

আন্তর্জাতিক ঋণের পরিমাণ ও ঋণের সুদহার বাড়ায় বিদেশি ঋণ পাওয়ার শর্তকে কঠিন করছে বলে মনে করেন ইআরডি কর্মকর্তারা।