ঢাকা ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দ্বিতীয়বার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাবে ১০০ রুপির ওষুধ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:২৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বছরে বিশ্বের ৬ জনের ১ জন মারা যান ক্যান্সারে। ক্যান্সার চিকিৎসায় এখনও সফল ওষুধ আবিষ্কৃত না হলেও প্রথমবার রোগটির পুনরাবৃত্তি রোধের ওষুধ তৈরি করে হইচই ফেলে দিয়েছে ভারতের টাটা মেমোরিয়াল সেন্টার।

গবেষকদের দাবি, ওষুধটি সেবনে কোনো ব্যক্তির দ্বিতীয়বারের মতো ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কমে যাবে ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে ৫০ শতাংশ কমবে রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। দীর্ঘ ১০ বছরের গবেষণায় কয়েক কোটি রুপি খরচ করা হলেও ওষুধের দাম ঠিক হয়েছে মাত্র ১০০ রুপি।

টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের জ্যেষ্ঠ ক্যান্সার সার্জন ডা. রাজেন্দ্র বারভে বলেন, ‘গেল ৫ বছরে আবিষ্কৃত নতুন চিকিৎসাগুলোয় ক্যান্সার নিরাময়ের হার মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ। এই চিকিৎসার খরচ ১ লাখ থেকে ৪ কোটি রুপি। অন্যদিকে আমাদের ওষুধের দাম রাখা হয়েছে ১০০ রুপির মধ্যে।’

ওষুধটি নিয়ে গবেষণার জন্য ইঁদুরের দেহে মানুষের ক্যান্সার কোষ ঢোকানো হয়। যা পরিণত হয় টিউমারে। অস্ত্রোপচারের পর ইঁদুরগুলোকে রেডিয়েশন থেরাপি ও কেমোথেরাপি দেয়া হয়। এতে ক্যান্সার কোষগুলো মারা গেলেও সেগুলো পরিণত হয় ক্রোমাটিনের ছোট কণায়। এই ক্রোমাটিন কণাগুলো পরবর্তীতে রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে গিয়ে সংক্রমিত করে সুস্থ কোষকে।

সুস্থ কোষকে সংক্রমণ থেকে রক্ষায় গবেষকরা ইঁদুরের দেহে প্রয়োগ করেন রেসভেরাট্রল ও কপার সম্মিলিত প্রো-অক্সিডেন্ট ট্যাবলেট। যা অক্সিজেন র‍্যাডিকেল তৈরির মাধ্যমে ধ্বংস করে ক্রোমাটিন কণা। জাদুর মতো কার্যকরী ওষুধটি নিয়ে আশাবাদী গবেষকরা।

ডা. রাজেন্দ্র বারভে বলেন, ‘সঠিক প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সব ধারণাই ভিত্তিহীন। সবাই ভেবেছিল এই গবেষণায় সময় ও অর্থ অপচয় হচ্ছে। কিন্তু কিছু মানুষ আমাদের ওপর ভরসা রেখেছিলেন। বাকিটা আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র তথ্যমতে, ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় ১ কোটি মানুষ। অর্থাৎ প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন মারা যান ক্যান্সারের কারণে। ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি থেকে অনুমোদন পেলে জুন মাস থেকে বাজারে পাওয়া যাবে ক্যান্সারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানোর ট্যাবলেট। তবে ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তি রোধের ওষুধটি ক্রেতাদের নাগালে পৌঁছাতে সময় প্রয়োজন আরও ৫ বছর।

নিউজটি শেয়ার করুন

দ্বিতীয়বার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাবে ১০০ রুপির ওষুধ!

আপডেট সময় : ০৭:২৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বছরে বিশ্বের ৬ জনের ১ জন মারা যান ক্যান্সারে। ক্যান্সার চিকিৎসায় এখনও সফল ওষুধ আবিষ্কৃত না হলেও প্রথমবার রোগটির পুনরাবৃত্তি রোধের ওষুধ তৈরি করে হইচই ফেলে দিয়েছে ভারতের টাটা মেমোরিয়াল সেন্টার।

গবেষকদের দাবি, ওষুধটি সেবনে কোনো ব্যক্তির দ্বিতীয়বারের মতো ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কমে যাবে ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে ৫০ শতাংশ কমবে রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। দীর্ঘ ১০ বছরের গবেষণায় কয়েক কোটি রুপি খরচ করা হলেও ওষুধের দাম ঠিক হয়েছে মাত্র ১০০ রুপি।

টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের জ্যেষ্ঠ ক্যান্সার সার্জন ডা. রাজেন্দ্র বারভে বলেন, ‘গেল ৫ বছরে আবিষ্কৃত নতুন চিকিৎসাগুলোয় ক্যান্সার নিরাময়ের হার মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ। এই চিকিৎসার খরচ ১ লাখ থেকে ৪ কোটি রুপি। অন্যদিকে আমাদের ওষুধের দাম রাখা হয়েছে ১০০ রুপির মধ্যে।’

ওষুধটি নিয়ে গবেষণার জন্য ইঁদুরের দেহে মানুষের ক্যান্সার কোষ ঢোকানো হয়। যা পরিণত হয় টিউমারে। অস্ত্রোপচারের পর ইঁদুরগুলোকে রেডিয়েশন থেরাপি ও কেমোথেরাপি দেয়া হয়। এতে ক্যান্সার কোষগুলো মারা গেলেও সেগুলো পরিণত হয় ক্রোমাটিনের ছোট কণায়। এই ক্রোমাটিন কণাগুলো পরবর্তীতে রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে গিয়ে সংক্রমিত করে সুস্থ কোষকে।

সুস্থ কোষকে সংক্রমণ থেকে রক্ষায় গবেষকরা ইঁদুরের দেহে প্রয়োগ করেন রেসভেরাট্রল ও কপার সম্মিলিত প্রো-অক্সিডেন্ট ট্যাবলেট। যা অক্সিজেন র‍্যাডিকেল তৈরির মাধ্যমে ধ্বংস করে ক্রোমাটিন কণা। জাদুর মতো কার্যকরী ওষুধটি নিয়ে আশাবাদী গবেষকরা।

ডা. রাজেন্দ্র বারভে বলেন, ‘সঠিক প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সব ধারণাই ভিত্তিহীন। সবাই ভেবেছিল এই গবেষণায় সময় ও অর্থ অপচয় হচ্ছে। কিন্তু কিছু মানুষ আমাদের ওপর ভরসা রেখেছিলেন। বাকিটা আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র তথ্যমতে, ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় ১ কোটি মানুষ। অর্থাৎ প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন মারা যান ক্যান্সারের কারণে। ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি থেকে অনুমোদন পেলে জুন মাস থেকে বাজারে পাওয়া যাবে ক্যান্সারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানোর ট্যাবলেট। তবে ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তি রোধের ওষুধটি ক্রেতাদের নাগালে পৌঁছাতে সময় প্রয়োজন আরও ৫ বছর।