প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করার কারণেই রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনের অগ্নিকাণ্ডের মত দুর্ঘটনাগুলো ঘটে থাকে। এসময় অগ্নিকাণ্ডটিকে অত্যন্ত দু:খজনক বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বেইলি রোডের ঐ বহুতল ভবনটিতে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় বার বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রী বীমার প্রকৃত দাবিদার যাতে স্বল্প সময়ে বীমা কোম্পানির কাছ থেকে তাদের দাবি বুঝে পায় সেটি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, "মানুষের প্রাণহানির ঘটনা খুবই দুঃখজনক।"
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বেইলি রোডে যে আগুনটা লাগলে, সেখানে একটা বহুতল ভবন, সেখানে কোনো ফায়ার এক্সিট নেই।
নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সব সময় আমাদের যারা আর্কিটেক্ট তাদের অনুরোধ করি, আপনারা অন্তত পক্ষে যখন ঘরবাড়ি তৈরি করেন, একটু খোলা বারান্দা, ফায়ার এক্সিট বা ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু যারা (ভবন) তৈরি করতে চায়, আর্কিটেক্টরাও ওরকম ডিজাইন ঠিক মতো করবে না। আবার মালিকরাও এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে চায় না।
শেখ হাসিনা বলেন, (বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে) ৪৫ জন মানুষ মারা গেছেন, এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে? অথচ ফায়ার এক্সটিংগুইশার লাগানো, অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে বারবার আমরা নির্দেশ দিচ্ছি। সেটা কিন্তু আর মানে না। আর আমি জানি এখানে নিশ্চয়ই ইনস্যুরেন্স নেই, কাজেই তারা কিছু পাবেও না। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতাটা খুব বেশি প্রয়োজন।
বীমা খাতের উন্নয়ন ও বিকাশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার এই খাতের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ এখনো বীমার বিষয়ে সচেতন নয়। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান বলেন, "অনেকেই অসাধু উপায়ে বীমার সুবিধা নিয়ে থাকেন। তাদের বিষয়ে সচেতন হতে হবে।" একই সঙ্গে প্রকৃত বীমার দাবিদারদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বীমা পরিশোধ করার তাগিদ দেন তিনি। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও বীমা নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও সেরা বীমা প্রতিষ্ঠানের হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।