বেইলি রোড ট্র্যাজেডিতে শোকাচ্ছন্ন তারকারা
- আপডেট সময় : ০১:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪
- / ৪৬৭ বার পড়া হয়েছে
বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ গেছে অন্তত ৪৬ জন মানুষের। হৃদয় বিদারক এই দুর্ঘটনায় ব্যথিত দেশবাসী। তারকাদের মনেও নেমেছে বিষাদের ছায়া। গণমাধ্যম থেকে সামাজিক মাধ্যম, সবখানেই আলোচনায় বেইলি রোড ট্র্যাজেডি। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার শোক স্পর্শ করছে দেশের শোবিজ অঙ্গনের মানুষদেরও! এই দুর্বিষহ ঘটনার পর সমবেদনা জানিয়েছেন তারকারাও। ব্যথিত হয়েছেন এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু দেখে।
চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ঘটনাস্থল থেকে লাইভ করেছেন রাত ১২টার দিকে।
ঢালিউড তারকা শাকিব খান বলেছেন, ‘গতরাতে (২৯ ফেব্রুয়ারি) বেইলি রোডে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আগে সেখানে বেশিরভাগ মানুষ হয়ত গিয়েছিলেন তাদের প্রিয়জন নিয়ে আনন্দময় কিছু সময় ভাগাভাগি করতে। কেউ কেউ গিয়েছিলেন শপিং বা পরিবার পরিজন নিয়ে ফ্রি টাইমে খাওয়া-দাওয়া করতে। কিন্তু এক নিমিষেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড থামিয়ে দিয়েছে এতোগুলো জ্বলজ্যান্ত জীবন। স্বজন হারিয়ে অনেকের ভবিষ্যৎ জীবনে নেমে এসেছে ঘোর অমানিশা! অনেকের তিলে তিলে গড়ে তোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শেষ হয়ে গেছে। কিছুদিন পরপর অগ্নিকাণ্ডে এতো এতো তরতাজা প্রাণ অকালে চলে যাওয়া এবং ক্ষয়ক্ষতি কোনওভাবে কাম্য নয়। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। আর জীবেনের ঝুঁকি নিয়ে যারা সবসময় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা মোকাবিলা করে সাধারণ মানুষের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন, সেইসব ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের জানাই স্যালুট! বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করছি। হাসপাতালে যারা সংকাটাপন্ন অবস্থায় আছেন, তারা যেন দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন সেই কামনা করছি। মহান সৃষ্টিকর্তা শোক সন্তপ্ত পরিবারের সকলকে এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার শক্তি দান করুন।’
অপু বিশ্বাস লিখেছেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। এই ধরনের মর্মান্তিক এবং বেদনাদায়ক ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’
দেবাশীষ বিশ্বাস বেইলি রোডের দুটো ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লেখেন, ‘রঙ্গিন থেকে সাদাকালো! আহা জীবন!’
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ পুড়ে যাওয়া ভবনের আগে ও পরের ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লেখেন, ‘বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আশা করি এই ঘটনা থেকে আমরা কিছু শিখতে পারব।’
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী যেন বাকরুদ্ধ। তেমন কিছুই বলতে পারলেন না। কেবল ভবনটির পূর্বের ও বর্তমান অবস্থার চিত্র শেয়ার করে বলেছেন, ‘হায়রে বেইলি রোড!’
অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব বলেছেন, ‘বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডে আহত-নিহতদের প্রতি সমবেদনা। মহান আল্লাহ সবার পরিবারকে এই শোক সইবার শক্তি দিন।’
অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী শেয়ার করেছেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো মানুষের তালিকা। সেই সঙ্গে তাদের বেহেশত প্রার্থনা করে দিয়েছেন পোস্ট।
ছোট পর্দার তারকা অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘ঝলমলে বেইলি রোড এখন পোড়া বাড়ি! ভিডিও দেখে যতটুকু বুঝলাম, আগুনের সূত্রপাত নিচতলা থেকে, কাচ্চি ভাই থেকে নয়।’
অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা বললেন, ‘এই ৪৬ জন কারও মেয়ে, কারও বাবা, কারও মা, কারও ছেলে, কারও ভাই, কারও বোন, কারও ভালোবাসার মানুষ, কারও প্রানের বন্ধু, কারও একমাত্র মনের মানুষ, কারও একমাত্র আশ্রয়ের জায়গা, আজ ঢাকার বাতাসে পোড়া গন্ধ। আহারে! জীবন আর মৃত্যুর মাঝখানে ফারাক কতটুকু?’
চিত্রনায়িকা জাহারা মিতুর ভাষ্য, ‘নিমতলী থেকে বেইলি রোড, বঙ্গবাজার থেকে নিউমার্কেট; একের পর এক ঘটে যাবে এমন ঘটনা। ক্ষণিক সময়ের আহাজারি শেষে আমরা মেতে উঠবো বিপিএল-এর ফাইনাল কিংবা বাদশাহর কনসার্টের মতন কোনও ইভেন্টের আনন্দে। অথচ ভুলে যাবো কাল (২৯ ফেব্রুয়ারি) হয়তো আমরাও হতে পারি কোনও লেলিহান শিখার গ্রাস। সময় এসেছে অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে বাঁচার ক্ষেত্রে পূর্বপ্রস্তুতি রাখার। ফায়ার সার্ভিসের প্রয়োজন উন্নয়ন। প্রত্যেকটি দালানের মালিকদেরও প্রয়োজন সচেতন হওয়া। এসব শুধু বলেই যাবো কিংবা লিখে। তবে কাজের কাজ আসলে হবে না কিছুই।’