ঢাকা ০৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় তিনজন আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪২:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৬৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর বেইলি রোডে ‘গ্রীন কিজ কটেজ’ ৮তলা ভবনে আগুনের ঘটনায় চুমুক নামের একটি খাবার দোকানের দুই মালিকসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ মার্চ) তাদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তির হলেন-চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন এবং কাচ্চি ভাই নামে আরেকটি খাবারের দোকানের ব্যবস্থাপক মো. জিসান।

এদিন সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ভবনের নিচতলার খাবার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এ ঘটনায় অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে। ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ করতে চাইলে তা পারবেন। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এ অগ্নিকাণ্ডে ভবনের মালিকের দায়িত্বের কোনও অবহেলা রয়েছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‌ ভবনের মালিক থেকে শুরু করে এ ঘটনায় যার দায় পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবারের (২৯ মার্চ) আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগুনে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী এবং আটজন শিশু মারা গেছেন‌। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এদের ৩৮ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুজনের লাশ মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে। বাকি ছয়জনের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় তিনজন আটক

আপডেট সময় : ০৫:৪২:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর বেইলি রোডে ‘গ্রীন কিজ কটেজ’ ৮তলা ভবনে আগুনের ঘটনায় চুমুক নামের একটি খাবার দোকানের দুই মালিকসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ মার্চ) তাদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তির হলেন-চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন এবং কাচ্চি ভাই নামে আরেকটি খাবারের দোকানের ব্যবস্থাপক মো. জিসান।

এদিন সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ভবনের নিচতলার খাবার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এ ঘটনায় অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে। ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ করতে চাইলে তা পারবেন। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এ অগ্নিকাণ্ডে ভবনের মালিকের দায়িত্বের কোনও অবহেলা রয়েছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‌ ভবনের মালিক থেকে শুরু করে এ ঘটনায় যার দায় পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবারের (২৯ মার্চ) আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগুনে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী এবং আটজন শিশু মারা গেছেন‌। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এদের ৩৮ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুজনের লাশ মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে। বাকি ছয়জনের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।