১১:৩০ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেইলি রোডের আগুনে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৭:৪৬:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪
  • ৫৫ দেখেছেন

রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন মৌলভীবজারের কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম (৬৫)। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মেম্বার। তার আইডি-৭১২৮।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীম ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে শ্রীপুর গ্রামে।

অ্যাডভোকেট শামীমের সঙ্গে থাকা নূরুল আলম জানান, দুর্ঘটনার কিছু সময় আগে তারা দু’জন একসঙ্গে করে হোটেল ক্যাপিটেল থেকে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কফি খেতে যান। ওই রেস্টুরেন্টে অবস্থান নেওয়ার মাত্র ৫ মিনিটের মাথায় রেস্টুরেন্টের নিচের দিকে কালো ধোঁয়াসহ কয়েকটি আওয়াজ শুনতে পান। তখন আতাউর রহমান শামীম উঁকি মেরে ধোঁয়া দেখতে পান। এরপর তারা প্রথমে নিচে নামার চেষ্টা করেন, কিন্তু কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে কিছু না দেখায় সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকেন।

এ সময় ভিড়ে আতাউর রহমান শামীমকে আর দেখতে পাননি নূরুল আলম। হেলিপ্যাডের মাধ্যমে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও অ্যাডভোকেট শামীম অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম নিহত হওয়ায় গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এমপি।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। ১৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। এতে নারীসহ অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই ভবন থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩৮ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস।

বেইলি রোডের আগুনে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

আপডেট : ০৭:৪৬:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন মৌলভীবজারের কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম (৬৫)। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মেম্বার। তার আইডি-৭১২৮।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীম ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে শ্রীপুর গ্রামে।

অ্যাডভোকেট শামীমের সঙ্গে থাকা নূরুল আলম জানান, দুর্ঘটনার কিছু সময় আগে তারা দু’জন একসঙ্গে করে হোটেল ক্যাপিটেল থেকে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কফি খেতে যান। ওই রেস্টুরেন্টে অবস্থান নেওয়ার মাত্র ৫ মিনিটের মাথায় রেস্টুরেন্টের নিচের দিকে কালো ধোঁয়াসহ কয়েকটি আওয়াজ শুনতে পান। তখন আতাউর রহমান শামীম উঁকি মেরে ধোঁয়া দেখতে পান। এরপর তারা প্রথমে নিচে নামার চেষ্টা করেন, কিন্তু কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে কিছু না দেখায় সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকেন।

এ সময় ভিড়ে আতাউর রহমান শামীমকে আর দেখতে পাননি নূরুল আলম। হেলিপ্যাডের মাধ্যমে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও অ্যাডভোকেট শামীম অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম নিহত হওয়ায় গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এমপি।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। ১৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। এতে নারীসহ অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই ভবন থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩৮ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস।