ঢাকা ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জনগণের সঙ্গে নিষ্ঠুর রসিকতা করছে সরকার : মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪
  • / ৪০৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সঙ্গে নিষ্ঠুর রসিকতা করছে। তারা মৃত্যুর উপর দাঁড়িয়ে রসিকতা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না।তারা মৃত্যুর উপর দাঁড়িয়ে রসিকতা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না। আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে মানুষের জীবনের মতো তুচ্ছ আর কিছু নেই।

শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। সরকার ব্যাংক ডাকাত আর টাকা পাচারকারীদের মদদ দেয় বলেই দেশের নিত্যপণ্যের দাম দিন দিন বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন মান্না। তিনি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী বারবার সিন্ডিকেট বন্ধের কথা বললেও কাজের কাজ কিছুই করতে পারছেন না। অল্প কয়েকজন সিন্ডিকেটের কাছে সরকার অসহায়।

সরকারের মদদপুষ্ট কিছু লোক বিদেশে টাকা পাচার করছে বলেও মন্তব্য করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি। সরকারি নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনগণ রাজপথে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন মান্না।

রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বেইলি রোড নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, সেটি দেখে আমি খুব অবাক হয়েছি, ব্যথিত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ওই ভবনে একটি অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র ছিল না। এই লোকগুলোকে এত করে বলেছি, তারা সচেতন হয়নি। মানে উনি বোঝাতে চেয়েছেন, এই যে দুর্ঘটনা হলো, দোষ সব মানুষের যারা মরেছে, যারা এখানে দোকান, রেস্টুরেন্ট, ব্যবসা করেছে। যেমন করে দেশে ও বাইরে গিয়ে বলেন এত সুন্দর ভোট ৭৫ এর পরে আর হয়নি।

মান্না বলেন, এখনো একইভাবে তিনি জনগণের সাথে নির্দয়-নিষ্ঠুর রসিকতা করছেন বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। উনি বলছেন, ওরা কথা শুনেনি, মানেনি, তাই মরেছে। কথার মানে কি তাই দাঁড়ায় না? এই ঘটনায় কি কোনো মামলা হতে পারে? আমি পত্রিকায় বিবৃতি দেখলাম, নগর পরিকল্পনাবিদ ও সমাজ নিয়ে যারা ভাবেন তারা বলেছেন, এটা একটি হত্যাকাণ্ড। এটা নিমতলীর সময় বলা হয়েছিল, এফ আর টাওয়ারের সময় বলা হয়েছিল। আমাদের দেশে মানুষের জীবনের মতো তুচ্ছ আর কিছু নেই অন্তত সরকারের কাছে।

রাজপথের বিজয়, জনগণের বিজয় বোঝার মতো ক্ষমতা আওয়ামী লীগ হারিয়ে ফেলেছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, একদিন এই পরিস্থিতি বদলাবে। সেই বদলানোর জন্যই আমরা কাজ করছি। সেই দিন সমাগত। আসছে সামনে মানুষ নিজেরা বাঁচার তাগিদে ভোট, ভাত ও গণতন্ত্রের দাবিতে রাজপথে নামবে। সেই লড়াই হবে চূড়ান্ত।

বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এ জেড খান মো. রিয়াজ উদ্দিন নসু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহ, আলমগীর হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকি, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

জনগণের সঙ্গে নিষ্ঠুর রসিকতা করছে সরকার : মান্না

আপডেট সময় : ১১:০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সঙ্গে নিষ্ঠুর রসিকতা করছে। তারা মৃত্যুর উপর দাঁড়িয়ে রসিকতা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না।তারা মৃত্যুর উপর দাঁড়িয়ে রসিকতা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না। আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে মানুষের জীবনের মতো তুচ্ছ আর কিছু নেই।

শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। সরকার ব্যাংক ডাকাত আর টাকা পাচারকারীদের মদদ দেয় বলেই দেশের নিত্যপণ্যের দাম দিন দিন বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন মান্না। তিনি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী বারবার সিন্ডিকেট বন্ধের কথা বললেও কাজের কাজ কিছুই করতে পারছেন না। অল্প কয়েকজন সিন্ডিকেটের কাছে সরকার অসহায়।

সরকারের মদদপুষ্ট কিছু লোক বিদেশে টাকা পাচার করছে বলেও মন্তব্য করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি। সরকারি নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনগণ রাজপথে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন মান্না।

রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বেইলি রোড নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, সেটি দেখে আমি খুব অবাক হয়েছি, ব্যথিত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ওই ভবনে একটি অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র ছিল না। এই লোকগুলোকে এত করে বলেছি, তারা সচেতন হয়নি। মানে উনি বোঝাতে চেয়েছেন, এই যে দুর্ঘটনা হলো, দোষ সব মানুষের যারা মরেছে, যারা এখানে দোকান, রেস্টুরেন্ট, ব্যবসা করেছে। যেমন করে দেশে ও বাইরে গিয়ে বলেন এত সুন্দর ভোট ৭৫ এর পরে আর হয়নি।

মান্না বলেন, এখনো একইভাবে তিনি জনগণের সাথে নির্দয়-নিষ্ঠুর রসিকতা করছেন বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। উনি বলছেন, ওরা কথা শুনেনি, মানেনি, তাই মরেছে। কথার মানে কি তাই দাঁড়ায় না? এই ঘটনায় কি কোনো মামলা হতে পারে? আমি পত্রিকায় বিবৃতি দেখলাম, নগর পরিকল্পনাবিদ ও সমাজ নিয়ে যারা ভাবেন তারা বলেছেন, এটা একটি হত্যাকাণ্ড। এটা নিমতলীর সময় বলা হয়েছিল, এফ আর টাওয়ারের সময় বলা হয়েছিল। আমাদের দেশে মানুষের জীবনের মতো তুচ্ছ আর কিছু নেই অন্তত সরকারের কাছে।

রাজপথের বিজয়, জনগণের বিজয় বোঝার মতো ক্ষমতা আওয়ামী লীগ হারিয়ে ফেলেছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, একদিন এই পরিস্থিতি বদলাবে। সেই বদলানোর জন্যই আমরা কাজ করছি। সেই দিন সমাগত। আসছে সামনে মানুষ নিজেরা বাঁচার তাগিদে ভোট, ভাত ও গণতন্ত্রের দাবিতে রাজপথে নামবে। সেই লড়াই হবে চূড়ান্ত।

বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এ জেড খান মো. রিয়াজ উদ্দিন নসু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহ, আলমগীর হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকি, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।