বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য নিয়ে নানক বলেন, আসলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, সব কিছুর বিরোধিতা করা। নিজের দায়িত্ব পালন না করে, সরকারের সমালোচনা ও বিরোধিতা করা। এটি তাদের একটি অভ্যাস।
শনিবার (২ মার্চ) রাজধানী লালমাটিয়া মহিলা স্কুল এন্ড কলেজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি ।
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিয়ে উল্টো বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী নানক বলেন, দেখেন এত বড় একটি আগুন হলো। তারা কি তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। করেনি। তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যায় নি। বিএনপি এখন পর্যন্ত যারা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সেখানে বিএনপির কেউ যান নি। যারা নিহত হয়েছে তাদের প্রতি বিএনপি কোন সহানুভূতিও জানায় নি। আসলে বিএনপি একটি সূত্র বের করে আর সেই সূত্র উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে পেচিয়ে দিয়ে তারা তাদের সমস্ত দায় দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চায়। এরা আসলে দায়িত্বহীন একটি রাজনৈতিক দল। তাই বিএনপি কি বলছে তাতে মানুষের আর দৃষ্টি নেই।
বিএনপি থেকে দেশের মানুষ দলটির সন্ত্রাসের জন্য দৃষ্টি সরিয়ে নিয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, তাদের মানুষ হত্যার রাজনীতির জন্য মানুষ আসলে তাদের কাছ থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিয়েছে। কাজেই তাদেরকে নিয়ে খুব বেশি বলার আছে বলে আমি মনে করি না।
বেইলি রোডের আগ্নীকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, এটি দুর্ঘটনা না নাশকতা বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে। তদন্তের পর আসল ঘটনা কি বের হবে। তবে আমি বলবো, যারা ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট রেস্টুরেন্ট মালিক থেকে শুরু করে যারা সেখানে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাজ করছে, এবং যাদের নিয়মনীতি পালনে বাধ্য করার কথা তারাই সকলেই সতর্ক হবেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ আগুনটি লাগার পর থেকে আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডটি। যেখানে ব্যাঙ্গের ছাতার মত সেভাবে রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। সে রেস্টুরেন্টগুলোতে আগুন প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা আছে বলে আমার জানা নেই। কাজেই আমি বলেছি, সংশ্লিষ্ট সকলকে নড়ে চড়ে বসা দরকার। আর একটি মানুষকেও যাতে আর এভাবে আগুনে পুড়ে মরতে না হয়।
এ সময় সংশ্লিষ্টদের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের উদ্দে্শ্যে তিনি বলেন, শুধু মুনাফাই করবেন, মানুষের জীবনকে এভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে, এটা মেনে নেয়া যেতে পারে না। অগ্নি নির্বাপকের ব্যবস্থা সকল প্রতিষ্ঠানের নিতে হবে। এবং নিতে বাধ্য করতে হবে।
শপথ নেয়া নতুন প্রতিমন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা সবাই খুবই যোগ্য। তারা দেশকে অনেক কিছু দিতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।