০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেকোনো পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: প্রধানমন্ত্রী

দেশের যেকোনো পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আজ শনিবার (০২ মার্চ) রাজশাহী সেনানিবাসের কোর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন আশা প্রকাশ করেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এখন শুধু দেশে না, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শান্তি রক্ষা মিশনেও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে দেশের সুনাম বয়ে আনছেন।”

সরকার সেনাবাহিনীকে একটি আধুনিক জ্ঞান-প্রযুক্তিসম্পন্ন বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি মনে করিয়ে দেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ১৯৭২ সালে সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলেন। তিনি ১৯৭৪ সালের জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা গ্রহণ করেন। আজকের সেনাবাহিনী সেসবের ধারাবাহিকতায় নিজেদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলা। জনগনের প্রতি ধন্যবাদ জানাই। বারবার ভোট দিয়ে আমাদের বিজয়ী করায় দেশর সেবা করতে পারছি। ইনশাল্লাহ দেশ‌এগিয়ে যাবে।”

বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণ বারবার ভোট দিয়ে আমাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে বলেই আজকে দেশকে আমরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময়ই জাতি গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিয়োজিত করেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ তদারকি, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রকল্প, হাতিরঝিল সমন্বিত প্রকল্প, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার নির্মাণ, মহিপাল ফ্লাইওভার নির্মাণ এবং থানচী-আলীকদম সড়ক নির্মাণ ইত্যাদি জাতীয় কার্যক্রমে সেনাদের অবদান অনস্বীকার্য।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি পরিবারে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। রাস্তাঘাট, পুল-ব্রিজ সবকিছু উন্নত করে দিচ্ছি। দেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেই আমরা ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সদস্যরা নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ অর্পিত দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালনে সক্ষম হবে। কর্মজীবনে সব ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখবে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আত্মত্যাগ, কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে সম্মান ও মর্যাদা। যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে। সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাসদস্যগণ নিরলসভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা সমুন্নত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ দেশের সম্পদ, দেশের মানুষের ভরসা ও বিশ্বাসের মূর্ত প্রতীক। তাই পেশাদারিত্বের কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনের জন্য আপনাদের সবাইকে দক্ষ, সৎ ও নিষ্ঠাবান হতে হবে। পবিত্র সংবিধান এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক যে কোন হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, কর্তব্যপরায়ণতা, দায়িত্ববোধ এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা বজায় রেখে আপনাদের কর্তব্য সম্পাদনে একনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন বলে আমি আশা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সরকার সব সময় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সার্বিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ সুবিধাদির উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছে। ক্যাডেটদের মৌলিক প্রশিক্ষণ ও প্রাতিষ্ঠানিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের মেয়াদকাল বৃদ্ধি করা হয়েছে, যেখানে ক্যাডেটগণ বিভিন্ন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার সুযোগ লাভ করেছে। রিক্রুটদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন ফরমেশনে প্রশিক্ষণ সুবিধাদি সম্প্রসারণ করা হয়েছে।’

যেকোনো পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০৭:১০:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

দেশের যেকোনো পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আজ শনিবার (০২ মার্চ) রাজশাহী সেনানিবাসের কোর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন আশা প্রকাশ করেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এখন শুধু দেশে না, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শান্তি রক্ষা মিশনেও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে দেশের সুনাম বয়ে আনছেন।”

সরকার সেনাবাহিনীকে একটি আধুনিক জ্ঞান-প্রযুক্তিসম্পন্ন বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি মনে করিয়ে দেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ১৯৭২ সালে সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলেন। তিনি ১৯৭৪ সালের জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা গ্রহণ করেন। আজকের সেনাবাহিনী সেসবের ধারাবাহিকতায় নিজেদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলা। জনগনের প্রতি ধন্যবাদ জানাই। বারবার ভোট দিয়ে আমাদের বিজয়ী করায় দেশর সেবা করতে পারছি। ইনশাল্লাহ দেশ‌এগিয়ে যাবে।”

বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণ বারবার ভোট দিয়ে আমাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে বলেই আজকে দেশকে আমরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময়ই জাতি গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিয়োজিত করেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ তদারকি, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রকল্প, হাতিরঝিল সমন্বিত প্রকল্প, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার নির্মাণ, মহিপাল ফ্লাইওভার নির্মাণ এবং থানচী-আলীকদম সড়ক নির্মাণ ইত্যাদি জাতীয় কার্যক্রমে সেনাদের অবদান অনস্বীকার্য।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি পরিবারে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। রাস্তাঘাট, পুল-ব্রিজ সবকিছু উন্নত করে দিচ্ছি। দেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেই আমরা ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সদস্যরা নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ অর্পিত দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালনে সক্ষম হবে। কর্মজীবনে সব ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখবে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আত্মত্যাগ, কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে সম্মান ও মর্যাদা। যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে। সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাসদস্যগণ নিরলসভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা সমুন্নত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ দেশের সম্পদ, দেশের মানুষের ভরসা ও বিশ্বাসের মূর্ত প্রতীক। তাই পেশাদারিত্বের কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনের জন্য আপনাদের সবাইকে দক্ষ, সৎ ও নিষ্ঠাবান হতে হবে। পবিত্র সংবিধান এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক যে কোন হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, কর্তব্যপরায়ণতা, দায়িত্ববোধ এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা বজায় রেখে আপনাদের কর্তব্য সম্পাদনে একনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন বলে আমি আশা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সরকার সব সময় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সার্বিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ সুবিধাদির উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছে। ক্যাডেটদের মৌলিক প্রশিক্ষণ ও প্রাতিষ্ঠানিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের মেয়াদকাল বৃদ্ধি করা হয়েছে, যেখানে ক্যাডেটগণ বিভিন্ন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার সুযোগ লাভ করেছে। রিক্রুটদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন ফরমেশনে প্রশিক্ষণ সুবিধাদি সম্প্রসারণ করা হয়েছে।’