Dhaka ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেসক্লাবে মারধরের পর সাংবাদিকের মৃত্যু

বরগুনার প্রেসক্লাবে আটকে রেখে মারধরের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তালুকদার মাসুদ নামের এক সাংবাদিকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার (২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই সাংবাদিক মারা যান।

নিহত সাংবাদিক নলটোনা ইউনিয়নের পদ্মা গ্রামের আবদুল ওয়াহাব মাস্টারের ছেলে। তিনি দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকা ও রাজধানী টেলিভিশন নামের একটি আইপি টিভির বরগুনা জেলা প্রতিনিধি ছিলেন।

নিহত ইউপি সদস্য তালুকদার মাসুদের স্ত্রী সাজেদা জানান, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তর্ক হয়। একপর্যায়ে এনটিভির বরগুনা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজ ও তাঁর ১০–১২জন সহযোগী মিলে হামলা চালিয়ে আহতাবস্থায় তালাবদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বরগুনা ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার ১১ দিন পর শনিবার (২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মাছরাঙা টেলিভিশনের বরগুনা প্রতিনিধি মুশফিক আরিফ বলেন, ‘প্রেসক্লাবে ক্যারাম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে বরগুনা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার অফিস রুমে বসে এনটিভির জেলা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন মিলে হামলা চালিয়ে মাসউদকে তালাবদ্ধ করে রাখে। সেখানে মাসউদকে তালাবদ্ধ অবস্থায় প্রায় এক ঘণ্টা জিম্মি করে নির্যাতন করা হয়। পরে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তালুকদার মাসউদকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।’

নিহত তালুকদার মাসউদের মেয়ে সাদিয়া তালুকদার তন্নি বলেন, ‘মৃত্যুর আগে আমার বাবা ভিডিও বার্তায় বলে গেছেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার অফিসরুমে বসে এনটিভির জেলা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজের নেতৃত্বে দৈনিক ভোরের আকাশের জেলা প্রতিনিধি কাশেম হাওলাদার, এনটিভির ক্যামেরা পার্সন আরিফুল ইসলাম মুরাদসহ বেশ কয়েকজন মিলে হামলা চালিয়ে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল।’

তন্নি বলেন, ‘আমার বাবাকে ওরা প্রেসক্লাবে আটক রেখে হামলা করে হত্যা করেছে। আমি আমার বাবার হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

বরগুনা সদর থানার ওসি আবুল কাসেম মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলা থেকে তালুকদার মাসুদ নামের এক সাংবাদিককে আমরা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠাই। গতকাল রাত ১১টার (২ মার্চ) দিকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে। মামলা হওয়ার পর আমরা যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

প্রেসক্লাবে মারধরের পর সাংবাদিকের মৃত্যু

আপডেট : ০৮:৪০:২৭ অপরাহ্ন, রোববার, ৩ মার্চ ২০২৪

বরগুনার প্রেসক্লাবে আটকে রেখে মারধরের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তালুকদার মাসুদ নামের এক সাংবাদিকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার (২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই সাংবাদিক মারা যান।

নিহত সাংবাদিক নলটোনা ইউনিয়নের পদ্মা গ্রামের আবদুল ওয়াহাব মাস্টারের ছেলে। তিনি দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকা ও রাজধানী টেলিভিশন নামের একটি আইপি টিভির বরগুনা জেলা প্রতিনিধি ছিলেন।

নিহত ইউপি সদস্য তালুকদার মাসুদের স্ত্রী সাজেদা জানান, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তর্ক হয়। একপর্যায়ে এনটিভির বরগুনা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজ ও তাঁর ১০–১২জন সহযোগী মিলে হামলা চালিয়ে আহতাবস্থায় তালাবদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বরগুনা ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার ১১ দিন পর শনিবার (২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মাছরাঙা টেলিভিশনের বরগুনা প্রতিনিধি মুশফিক আরিফ বলেন, ‘প্রেসক্লাবে ক্যারাম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে বরগুনা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার অফিস রুমে বসে এনটিভির জেলা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন মিলে হামলা চালিয়ে মাসউদকে তালাবদ্ধ করে রাখে। সেখানে মাসউদকে তালাবদ্ধ অবস্থায় প্রায় এক ঘণ্টা জিম্মি করে নির্যাতন করা হয়। পরে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তালুকদার মাসউদকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।’

নিহত তালুকদার মাসউদের মেয়ে সাদিয়া তালুকদার তন্নি বলেন, ‘মৃত্যুর আগে আমার বাবা ভিডিও বার্তায় বলে গেছেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার অফিসরুমে বসে এনটিভির জেলা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজের নেতৃত্বে দৈনিক ভোরের আকাশের জেলা প্রতিনিধি কাশেম হাওলাদার, এনটিভির ক্যামেরা পার্সন আরিফুল ইসলাম মুরাদসহ বেশ কয়েকজন মিলে হামলা চালিয়ে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল।’

তন্নি বলেন, ‘আমার বাবাকে ওরা প্রেসক্লাবে আটক রেখে হামলা করে হত্যা করেছে। আমি আমার বাবার হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

বরগুনা সদর থানার ওসি আবুল কাসেম মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলা থেকে তালুকদার মাসুদ নামের এক সাংবাদিককে আমরা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠাই। গতকাল রাত ১১টার (২ মার্চ) দিকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে। মামলা হওয়ার পর আমরা যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেব।’