ঢাকা ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পরিবহন খাতে সরকার ক্ষমতাহীন: টিআইবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪
  • / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন আপদমস্তক দুর্নীতিতে জর্জরিত পরিবহন খাত। বাস মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো ৮০ শতাংশ সরকারি দলের নিয়ন্ত্রণে। মালিক শ্রমিকদের আঁতাতে তারা বেশি ক্ষমতাবান। সরকার এখানে ওই গোষ্ঠীটি থেকে ক্ষমতাহীন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে ‘ব্যক্তিমালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার’ বিষয়ক গবেষণা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঘুষ-দুর্নীতির কারণে যাত্রীরা প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছে না। ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, বিআরটিএ সবাই মিলেমিশে দুর্নীতি চলছে। পরিবহন খাতের ঘুষের টাকা দিন শেষে বিভিন্ন মহলে ভাগাভাগি হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলেন প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসের নিবন্ধন, সনদ প্রদান ও হালনাগাদে বাস প্রতি গড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়। এ খাত থেকে বছরে ৯০০ কোটি টাকার বেশি চাঁদাবাজি হয়। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এই গবেষণা করা হয়।

টিআইবির রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, সড়কে চলাচলকারী বাসের ৬০ দশমিক ২ শতাংশ ব্যক্তিমালিকানাধীন । বিআরটিএ এর ২০২৩ সালের রিপোর্ট অনুসারে ৯৮ দশমিক ৪ শতাংশ যাত্রী বেসরকারি পরিবহনে যাতায়াত করেন। মোট ব্যক্তিমালিকানাধীন বাসের সংখ্যা ৮০ হাজার ৫২১টি।

তিনি বলেন, গবেষণার উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিবহন ব্যবসার শুদ্ধাচার পর্যালোচনা করা। গবেষণা শুরু হয় ২০২৩ সালের মে মাসে চলমান থাকে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত। ২০২৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত জরিপ পরিচালনা করা হয়। ৫১টি বাস টার্মিনাল পর্যবেক্ষণ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন নেই, ২৪ শতাংশ ফিটনেস নেই, ১৮.৫ ট্যাক্স টোকেন নেই, ২২ শতাংশ রুট পারমিট নেই বলে জানিয়েছে শ্রমিকরা। ৮২ শতাংশ শ্রমিককে কোন নিয়োগ দেওয়া হয়নি। দৈনিক গড়ে ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়, সর্বোচ্চ ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করেন, তাদের কোন ওভারটাইম ভাতা দেওয়া হয় না।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ডিরেক্টর মোহাম্মদ বদিউজ্জামান, উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) সুমাইয়া খায়ের।

নিউজটি শেয়ার করুন

পরিবহন খাতে সরকার ক্ষমতাহীন: টিআইবি

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন আপদমস্তক দুর্নীতিতে জর্জরিত পরিবহন খাত। বাস মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো ৮০ শতাংশ সরকারি দলের নিয়ন্ত্রণে। মালিক শ্রমিকদের আঁতাতে তারা বেশি ক্ষমতাবান। সরকার এখানে ওই গোষ্ঠীটি থেকে ক্ষমতাহীন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে ‘ব্যক্তিমালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার’ বিষয়ক গবেষণা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঘুষ-দুর্নীতির কারণে যাত্রীরা প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছে না। ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, বিআরটিএ সবাই মিলেমিশে দুর্নীতি চলছে। পরিবহন খাতের ঘুষের টাকা দিন শেষে বিভিন্ন মহলে ভাগাভাগি হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলেন প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসের নিবন্ধন, সনদ প্রদান ও হালনাগাদে বাস প্রতি গড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়। এ খাত থেকে বছরে ৯০০ কোটি টাকার বেশি চাঁদাবাজি হয়। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এই গবেষণা করা হয়।

টিআইবির রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, সড়কে চলাচলকারী বাসের ৬০ দশমিক ২ শতাংশ ব্যক্তিমালিকানাধীন । বিআরটিএ এর ২০২৩ সালের রিপোর্ট অনুসারে ৯৮ দশমিক ৪ শতাংশ যাত্রী বেসরকারি পরিবহনে যাতায়াত করেন। মোট ব্যক্তিমালিকানাধীন বাসের সংখ্যা ৮০ হাজার ৫২১টি।

তিনি বলেন, গবেষণার উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিবহন ব্যবসার শুদ্ধাচার পর্যালোচনা করা। গবেষণা শুরু হয় ২০২৩ সালের মে মাসে চলমান থাকে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত। ২০২৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত জরিপ পরিচালনা করা হয়। ৫১টি বাস টার্মিনাল পর্যবেক্ষণ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন নেই, ২৪ শতাংশ ফিটনেস নেই, ১৮.৫ ট্যাক্স টোকেন নেই, ২২ শতাংশ রুট পারমিট নেই বলে জানিয়েছে শ্রমিকরা। ৮২ শতাংশ শ্রমিককে কোন নিয়োগ দেওয়া হয়নি। দৈনিক গড়ে ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়, সর্বোচ্চ ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করেন, তাদের কোন ওভারটাইম ভাতা দেওয়া হয় না।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ডিরেক্টর মোহাম্মদ বদিউজ্জামান, উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) সুমাইয়া খায়ের।