গেলো ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয় দুটোই আগের চেয়ে বেশি এসেছে। গত মাসে দেশে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। যা ৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। রপ্তানি আয়ও ৫শ’ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট কাটানো গেলে উৎপাদন আরও বাড়িয়ে রপ্তানি আয়ের এই ধারা ধরে রাখার প্রত্যয় জানান ব্যবসায়ীরা। আর অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়েছেন বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে।
দেশে আমেরিকান ডলার সংকটের মধ্যেই সুখবর এসেছে প্রবাসী আয়ে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাস টানা দুই বিলিয়ন ডলারের ঘর ছুঁয়েছে অর্থনীতির অন্যতম খাত প্রবাসী আয়। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৩ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ।
প্রায় দুই বছর ধরে প্রতি মাসে বাংলাদেশ থেকে গড়ে এক লাখের মতো কর্মী বিদেশ যাচ্ছে। ২০২৩ সালে ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ জনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এটি দেশের ইতিহাসে এক বছরে বিদেশে যাওয়া শ্রমিকের সর্বোচ্চ সংখ্য। ২০২২ সালে বিদেশে গেছে ১১ লাখ ৩৫ হাজার কর্মী। আগামী পাঁচ বছরে ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবছর যে হারে প্রবাসে শ্রমিক যাচ্ছে সে হারে বৈদেশিক আয় দেশে আসছে না। অদক্ষ শ্রমিক বিদেশে পাঠানোই এর প্রধান কারন বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে, গত মাসে দেশ থেকে বিভিণœ পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫১৮ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের। গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪৬৩ কোটি ডলারের পন্য রপ্তানি হয়েছিল। এবার ৫৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার বা ১২ দশমিক শুন্য-চার শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে। গত তিন মাস ধরে রপ্তানি আয় এসেছে ৫ বিলিয়ন ডলারের উপর। রপ্তানি আয়ে তৈরি পোশাক খাতই এগিয়ে।
গতমাসে তৈরি পোশাক খাত থেকে নগদ সহায়তা কমিয়েছে সরকার। ফেব্রুয়ারিতে বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দাম। গ্যাস সংকটও আছে। এগুলো কাটানোর দাবি ব্যবসায়ীদের।