ঢাকা ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজায় খেতে না পেয়ে মারা যাচ্ছে শিশুরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪
  • / ৪১৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার উত্তরাঞ্চলের অনাহারে মারা যাচ্ছে শিশুরা। বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, গত বছর অক্টোবরে সংঘাত শুরুর পর থেকে গেল সপ্তাহান্তে প্রথমবারের মতো আল-আওদা এবং কামাল আদওয়ান হাসপাতাল পরিদর্শন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে হাসপাতাল পরিদর্শনের পর ‘গুরুতর ফলাফল’ পাওয়ার কথা জানান সংস্থার প্রধান তেদ্রস আধানম গেব্রিয়েসাস। ডব্লিউএইচও প্রধান জানান, খাবারের অভাবে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং গুরুতর অপুষ্টির কারণে আরও বহু শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।

গত রোববার গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে অন্তত ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের একটি হাসপাতালে রোববার আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর গাজার শিশুরা মারাত্মক অপুষ্টির শিকার হচ্ছে, অনাহারে মারা যাচ্ছে, জ্বালানি, খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহের গুরুতর ঘাটতি, হাসপাতাল ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে প্রায় তিন লাখ মানুষ সামান্য খাদ্য এবং পানি পাচ্ছে।

এর আগে জাতিসংঘ গত সপ্তাহে বলেছিল, গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘প্রায় অনিবার্য’। জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, গাজা উপত্যকাজুড়ে অন্তত ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ, যা ভূখণ্ডটির মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ বিপর্যয়কর মাত্রার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছেন। এছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই বছরের কম বয়সী প্রতি ছয়জন শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে বলেও জানান জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় খেতে না পেয়ে মারা যাচ্ছে শিশুরা

আপডেট সময় : ০৪:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার উত্তরাঞ্চলের অনাহারে মারা যাচ্ছে শিশুরা। বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, গত বছর অক্টোবরে সংঘাত শুরুর পর থেকে গেল সপ্তাহান্তে প্রথমবারের মতো আল-আওদা এবং কামাল আদওয়ান হাসপাতাল পরিদর্শন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে হাসপাতাল পরিদর্শনের পর ‘গুরুতর ফলাফল’ পাওয়ার কথা জানান সংস্থার প্রধান তেদ্রস আধানম গেব্রিয়েসাস। ডব্লিউএইচও প্রধান জানান, খাবারের অভাবে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং গুরুতর অপুষ্টির কারণে আরও বহু শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।

গত রোববার গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে অন্তত ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের একটি হাসপাতালে রোববার আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর গাজার শিশুরা মারাত্মক অপুষ্টির শিকার হচ্ছে, অনাহারে মারা যাচ্ছে, জ্বালানি, খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহের গুরুতর ঘাটতি, হাসপাতাল ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে প্রায় তিন লাখ মানুষ সামান্য খাদ্য এবং পানি পাচ্ছে।

এর আগে জাতিসংঘ গত সপ্তাহে বলেছিল, গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘প্রায় অনিবার্য’। জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, গাজা উপত্যকাজুড়ে অন্তত ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ, যা ভূখণ্ডটির মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ বিপর্যয়কর মাত্রার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছেন। এছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই বছরের কম বয়সী প্রতি ছয়জন শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে বলেও জানান জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা।