ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বিমানবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি
- আপডেট সময় : ০৬:১৭:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪
- / ৩৯৪ বার পড়া হয়েছে
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে অপ্রত্যাশিতভাবে সামরিক সরঞ্জাম হারাচ্ছে রাশিয়ার বিমানবাহিনী। শুধু গেলো মাসেই ১৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন। গেলো সপ্তাহে আরেকটি এ ফিফটি যুদ্ধবিমান খুইয়েছে মস্কো।
ইউক্রেনের হামলা বেশ ভালোভাবে প্রতিহত করে এই যুদ্ধযানগুলো। নিজেদের মজুতের এক তৃতীয়াংশ এ ফিফটি বিমান হারানোর পর রুশ বৈমানিকরা সম্মুখসারির আরও কাছে গিয়ে বিমান উড়াতে বাধ্য হচ্ছেন, যে কারণে বাড়ছে লোকসানের মাত্রা।
বিমান খুইয়ে পশ্চিমাদের সরবরাহ করা অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে কাবু করা সহজ হচ্ছে রাশিয়ার জন্য। ভূমি থেকে উৎক্ষেপণ করার ৪০ কিলোমিটার রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র আর ৯৫ কিলোমিটার রেঞ্জের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র হারাচ্ছে ইউক্রেন। কিন্তু রাশিয়ার হারানোর পরিমাণও কম না। ২০২২ সালে ইউক্রেনে অভিযান শুরুর সময় থেকে এখন পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক সামরিক সরঞ্জাম হারিয়েছে রাশিয়া।
ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এভাবে রুশ সেনাবাহিনী লোকসানের মুখোমুখি হতে থাকলে দ্রুতই কঠিন সিদ্ধান্তে যেতে হবে তাদের। যুদ্ধবিমান কম উড়াতে হবে, নয়তো বেশি ঝুঁকি নিয়ে উড়াতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। রুশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার সংখ্যাও বাড়ছে।
আভদিভকা দখলে নেয়ার সময় অন্তত কয়েক হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়, পাশাপাশি বিমান বাহিনীর বিপুল পরিমাণ লোকসান হয়। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫টি ‘সু থার্টি ফোর’ বোমারু বিমান ধ্বংস করে ইউক্রেন।
দেশটির সেনাবাহিনী বলছে, এক সপ্তাহ ধরে অবশিষ্ট থাকা ছয়টি এ ফিফটির একটিও মোতায়েন করেনি রাশিয়া। যে কারণে লক্ষ্যবস্তু খুঁজতে বেগ পেতে হচ্ছে মাঠে থাকা সেনাবাহিনীকে।
কানাডিয়ান গোয়েন্দা গবেষক স্টিফান ওয়াটকিনস বলেন, এ ফিফটি মোতায়েন করে রাশিয়া এই সমরাস্ত্রকে এতোই অন্ধের মতো বিশ্বাস করেছিলো যে ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর ওপর নজরই দেয়নি। রাশিয়ার এ ফিফটি যুদ্ধবিমানগুলো ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জের বাইরে উড়ে, যে কারণে শত্রুপক্ষের বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোনের স্ক্যানিংয়ে ধরা পড়ে না। একেকটি বিমানের দাম ৩৫ কোটি ডলার।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন সোভিয়েত আমলের দূরপাল্লার এস টু হানড্রেড ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পর এই ক্ষেপণাস্ত্র ২০০ কিলোমিটার দূরের এ ফিফটি যুদ্ধবিমানে আঘাত করে ফেলে। গেল বছরও ড্রোন হামলায় আরেকটি এ ফিফটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদিও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর দ্যা স্টাডি অব ওয়ার বলছে, এতো প্রশিক্ষিত সেনা আর শক্তিশালী যুদ্ধবিমান হারানোর পরও রাশিয়া কোনভাবেই আকাশপথে আধিপত্য কমাবে না।