ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

টিআইবির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করল বিআরটিএ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:১০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৭৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ উল্লেখ করে বাস–মিনিবাসের মালিকদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে টাকা আদায়–সংক্রান্ত সংস্থাটির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে ঢাকার বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, টিআইবি অনুমাননির্ভর, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, বিআরটিএ কিংবা মন্ত্রণালয়ে কোনো মৌখিক, লিখিত অভিযোগসহ কোনো তথ্য না থাকা সত্ত্বেও টিআইবি কর্তৃক অসত্য প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বিআরটিএর সেবাগুলো ডিজিটাল হয়ে যাওয়ায় সশরীর অফিসে যেতে হয় না। ফলে ঘুষ–দুর্নীতিও হয় না।

তিনি আরও বলেন, টিআইবির প্রতিবেদনে বিআরটিএসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুমাননির্ভর তথ্য, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টিসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, এরূপ প্রতিবেদন প্রকাশে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। তবে টিআইবি যে গঠনমূলক ও বাস্তবধর্মী সুপারিশগুলো করেছে, তা আমরা আমলে নিয়ে কাজ করব।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (টিআইবি ‘ব্যক্তিমালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গবেষণায় এসেছে, বাস-মিনিবাসের মালিকের কাছ থেকে বিআরটিএর কর্মকর্তা–কর্মচারীরা বছরে ৯০০ কোটি টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে আদায় করেন। সব মিলিয়ে বাস–মিনিবাসের মালিকেরা চাঁদা ও ঘুষ হিসেবে বিভিন্ন পক্ষকে বছরে প্রায় ১ হাজার ৬০ কোটি টাকা দেয় বলে গবেষণায় উঠে আসে।

এ প্রতিবেদনের বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরতেই আজ সংবাদ সম্মেলন ডাকে পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ।

নিউজটি শেয়ার করুন

টিআইবির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করল বিআরটিএ

আপডেট সময় : ০৭:১০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ উল্লেখ করে বাস–মিনিবাসের মালিকদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে টাকা আদায়–সংক্রান্ত সংস্থাটির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে ঢাকার বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, টিআইবি অনুমাননির্ভর, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, বিআরটিএ কিংবা মন্ত্রণালয়ে কোনো মৌখিক, লিখিত অভিযোগসহ কোনো তথ্য না থাকা সত্ত্বেও টিআইবি কর্তৃক অসত্য প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বিআরটিএর সেবাগুলো ডিজিটাল হয়ে যাওয়ায় সশরীর অফিসে যেতে হয় না। ফলে ঘুষ–দুর্নীতিও হয় না।

তিনি আরও বলেন, টিআইবির প্রতিবেদনে বিআরটিএসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুমাননির্ভর তথ্য, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টিসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, এরূপ প্রতিবেদন প্রকাশে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। তবে টিআইবি যে গঠনমূলক ও বাস্তবধর্মী সুপারিশগুলো করেছে, তা আমরা আমলে নিয়ে কাজ করব।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (টিআইবি ‘ব্যক্তিমালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গবেষণায় এসেছে, বাস-মিনিবাসের মালিকের কাছ থেকে বিআরটিএর কর্মকর্তা–কর্মচারীরা বছরে ৯০০ কোটি টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে আদায় করেন। সব মিলিয়ে বাস–মিনিবাসের মালিকেরা চাঁদা ও ঘুষ হিসেবে বিভিন্ন পক্ষকে বছরে প্রায় ১ হাজার ৬০ কোটি টাকা দেয় বলে গবেষণায় উঠে আসে।

এ প্রতিবেদনের বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরতেই আজ সংবাদ সম্মেলন ডাকে পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ।