আসন্ন রমজান মাসে যেন দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকে, তা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারপ্রধান বলেন, 'দেশে যে মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে এবং দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি আছে, তা নিয়ন্ত্রণে সরকার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।'
তিনি বলেন, 'রপ্তানি বহুমুখী করার জন্য কোন দেশে কী রপ্তানি করা যায়, তার লক্ষ্যে নতুন পণ্য উৎপাদন করতে হবে।'
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বেকারত্ব কমানোর বিষয়ে সরকারের নেয়া উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, 'যুব সমাজকে বেকারত্ব থেকে সরিয়ে আনতে বিশেষ ঋণ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। যাতে তারা নিজের কর্মসংস্থান নিজেই সৃষ্টি করতে পারে।’
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। স্মার্ট জনশক্তি, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলার জন্য সব মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানান।
এর আগে এদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ, মূল্য পরিস্থিতিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা নিজ নিজ বিভাগের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। রমজানে কোনোভাবেই যাতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না পায়, সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বাণিজ্য সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। মজুদদারি রোধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। ইফতার ও সাহরিতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়।