ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তীব্র মানবিক সংকটে গাজায় বাড়ছে অনাহারে মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:২০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৯১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ষষ্ঠ মাসে গড়িয়েছে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা ও অভিযান। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তীব্র মানবিক সংকটে ভূখন্ডটিতে বাড়ছে অনাহারে মৃত্যু। এতে করে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে।

এর মধ্যে বুধবার (৬ই মার্চ) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে আল-শিফা হাসপাতালে এক শিশু এবং উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে একজন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গাজায় অনাহারে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ২০ জনে।

তিনি বিবৃতিতে আরও জানান, এ হিসাবের বাইরেও আরও বহু মানুষ হাসপাতালে না পৌঁছাতে পেরে অনাহারে নীরবেই মারা যাচ্ছেন।

এছাড়া হিসাবের বাইরেও ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডের আরও অনেকেই নীরবে মারা যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজার এমন বিপর্যয়ে ইসরাইলকে দায়ী করে আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। হাজার হাজার শিশু, গর্ভবতী নারী এবং দীর্ঘ সময় ধরে রোগাক্রান্ত— রোগীরা মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে জাতিসংঘের কাছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবিলম্বে মানবিক ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়াসহ স্বাস্থ্য বিপর্যয় রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বানও জানিয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র ‘ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তর গাজার হাজার হাজার ক্ষুধার্ত মানুষের ওপর ভয়ঙ্কর গণহত্যা চালানোর’ জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি ‘উত্তর গাজায় মানবিক ও স্বাস্থ্য বিপর্যয় রোধ করতে’ জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন করেছেন।

এদিকে, গাজায় দুর্ভিক্ষের আশংকায় আবারও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের অতিরিক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এদিকে নুসেইরাত এবং দেইর আল-বালাহতে ইসরায়েলি হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। এছাড়া নুসেইরাত শরণার্থী শিবির এবং দেইর আল-বালাহতে ইসরায়েলি হামলার ফলে আরও অনেক ফিলিস্তিনি আহত এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

এর আগে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ফিলিস্তিনি সাংবাদিক মুহাম্মদ সালামা তার পরিবারের সাথে দেইর আল-বালাহতে তার বাড়িতে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

তীব্র মানবিক সংকটে গাজায় বাড়ছে অনাহারে মৃত্যু

আপডেট সময় : ০১:২০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

ষষ্ঠ মাসে গড়িয়েছে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা ও অভিযান। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তীব্র মানবিক সংকটে ভূখন্ডটিতে বাড়ছে অনাহারে মৃত্যু। এতে করে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে।

এর মধ্যে বুধবার (৬ই মার্চ) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে আল-শিফা হাসপাতালে এক শিশু এবং উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে একজন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গাজায় অনাহারে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ২০ জনে।

তিনি বিবৃতিতে আরও জানান, এ হিসাবের বাইরেও আরও বহু মানুষ হাসপাতালে না পৌঁছাতে পেরে অনাহারে নীরবেই মারা যাচ্ছেন।

এছাড়া হিসাবের বাইরেও ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডের আরও অনেকেই নীরবে মারা যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজার এমন বিপর্যয়ে ইসরাইলকে দায়ী করে আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। হাজার হাজার শিশু, গর্ভবতী নারী এবং দীর্ঘ সময় ধরে রোগাক্রান্ত— রোগীরা মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে জাতিসংঘের কাছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবিলম্বে মানবিক ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়াসহ স্বাস্থ্য বিপর্যয় রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বানও জানিয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র ‘ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তর গাজার হাজার হাজার ক্ষুধার্ত মানুষের ওপর ভয়ঙ্কর গণহত্যা চালানোর’ জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি ‘উত্তর গাজায় মানবিক ও স্বাস্থ্য বিপর্যয় রোধ করতে’ জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন করেছেন।

এদিকে, গাজায় দুর্ভিক্ষের আশংকায় আবারও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের অতিরিক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এদিকে নুসেইরাত এবং দেইর আল-বালাহতে ইসরায়েলি হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। এছাড়া নুসেইরাত শরণার্থী শিবির এবং দেইর আল-বালাহতে ইসরায়েলি হামলার ফলে আরও অনেক ফিলিস্তিনি আহত এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

এর আগে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ফিলিস্তিনি সাংবাদিক মুহাম্মদ সালামা তার পরিবারের সাথে দেইর আল-বালাহতে তার বাড়িতে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।