ঢাকা ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বঙ্গবন্ধু থেকে দেশরত্ন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৫৮:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার লেখা বই বঙ্গবন্ধু থেকে দেশরত্ন : অনুপ্রেরণার মহাকাব্য গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা শাখা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের আলোচনা সভায় তিনি এই গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

এসময় গ্রন্থকার বিপ্লব বড়ুয়া ও প্রকাশক কবি তারিক সুজাতসহ আওয়ামী লীগের জাতীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা গ্রন্থটিতে দশটি প্রবন্ধ রয়েছে। সেগুলো হলো ‘বাঙালির চিরঞ্জীব অনুপ্রেরণার মহাকাব্য’, ‘বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু’, ‘বঙ্গবন্ধুর অনন্য সংগ্রাম’, ‘মহান পিতার সুযোগ্য কন্যা’, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দিন ৭ মে ২০০৭’, ‘৩১ জানুয়ারি ১৯৯৬ : ভুলে যাওয়া এক অভিশপ্ত দিন’, ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নিয়ে বিএনপির রাজনীতি’, ‘পদ্মা সেতুবিরোধী ষড়যন্ত্র ও ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি’, ‘১৫ ফেব্রুয়ারির বিএনপির নির্বাচন এবং ইতিহাসের কালো অধ্যায়’, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন আইন : অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ’ শিরোনামে সংকলিত হয়েছে।

লেখাগুলোতে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্তের আলোকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে উপস্থাপিত হয়েছে। এরমধ্যে গ্রন্থকারের জীবনাভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে দুটি রাজনৈতিক স্মৃতিগদ্যও রয়েছে। শেষ অধ্যায়ে বিপ্লব বড়ুয়া প্রদত্ত একটি ইংরেজিসহ মোট চারটি সাক্ষাৎকার গ্রন্থভুক্ত হয়েছে। সেগুলো হলো ‘সরকার ভারত বা চীনমুখী নয়, সম্পূর্ণভাবে দেশের জনগণমুখী’, ‘মুক্তির প্রশ্নে ভরসা কেবল শেখ হাসিনা’, ‘তরুণরা সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ, আমি বিশ্বাস করি না’, এবং ‘সেভেনটি ফাইভ ইজ অ্যা ভেরি সেন্সিটিভ টার্ম ফর আস’, যেখানে গ্রন্থকারের রাজনৈতিক দর্শন ও দূরদৃষ্টি পাঠকের সামনে প্রতিভাত হয়ে উঠে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা মুখবন্ধে লিখেছেন, ‘পৃথিবীর অনেক রাজনীতিবিদের রচনাই ইতিহাসের অসামান্য দলিল হিসেবে স্বীকৃত। জাতির পিতার বইগুলো তার সঙ্গে উল্লেখযোগ্য সংযোজন। বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায় প্রকাশিত বিপ্লবের লেখাগুলো গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে, এটি আমার কাছে অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। লেখাগুলোতে বাংলাদেশের রাজনীতির কিছু চিত্র তুলে ধরেছে বিপ্লব যা পাঠকের কাছে রাজনৈতিক প্রবন্ধ-পাঠের নতুন অভিজ্ঞতা হিসেবে গণ্য হবে। বিপ্লবের মতো সব রাজনৈতিক কর্মীরা সমাজ ও রাজনীতি নিয়ে নিয়মিত লিখবে, এ আমার প্রত্যাশা।

বইটির মুখবন্ধ লেখা ও মোড়ক উন্মোচন করায় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিপ্লব বড়ুয়া। বইটির প্রকাশক ও উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বঙ্গবন্ধু থেকে দেশরত্ন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:৫৮:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার লেখা বই বঙ্গবন্ধু থেকে দেশরত্ন : অনুপ্রেরণার মহাকাব্য গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা শাখা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের আলোচনা সভায় তিনি এই গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

এসময় গ্রন্থকার বিপ্লব বড়ুয়া ও প্রকাশক কবি তারিক সুজাতসহ আওয়ামী লীগের জাতীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা গ্রন্থটিতে দশটি প্রবন্ধ রয়েছে। সেগুলো হলো ‘বাঙালির চিরঞ্জীব অনুপ্রেরণার মহাকাব্য’, ‘বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু’, ‘বঙ্গবন্ধুর অনন্য সংগ্রাম’, ‘মহান পিতার সুযোগ্য কন্যা’, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দিন ৭ মে ২০০৭’, ‘৩১ জানুয়ারি ১৯৯৬ : ভুলে যাওয়া এক অভিশপ্ত দিন’, ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নিয়ে বিএনপির রাজনীতি’, ‘পদ্মা সেতুবিরোধী ষড়যন্ত্র ও ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি’, ‘১৫ ফেব্রুয়ারির বিএনপির নির্বাচন এবং ইতিহাসের কালো অধ্যায়’, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন আইন : অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ’ শিরোনামে সংকলিত হয়েছে।

লেখাগুলোতে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্তের আলোকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে উপস্থাপিত হয়েছে। এরমধ্যে গ্রন্থকারের জীবনাভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে দুটি রাজনৈতিক স্মৃতিগদ্যও রয়েছে। শেষ অধ্যায়ে বিপ্লব বড়ুয়া প্রদত্ত একটি ইংরেজিসহ মোট চারটি সাক্ষাৎকার গ্রন্থভুক্ত হয়েছে। সেগুলো হলো ‘সরকার ভারত বা চীনমুখী নয়, সম্পূর্ণভাবে দেশের জনগণমুখী’, ‘মুক্তির প্রশ্নে ভরসা কেবল শেখ হাসিনা’, ‘তরুণরা সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ, আমি বিশ্বাস করি না’, এবং ‘সেভেনটি ফাইভ ইজ অ্যা ভেরি সেন্সিটিভ টার্ম ফর আস’, যেখানে গ্রন্থকারের রাজনৈতিক দর্শন ও দূরদৃষ্টি পাঠকের সামনে প্রতিভাত হয়ে উঠে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা মুখবন্ধে লিখেছেন, ‘পৃথিবীর অনেক রাজনীতিবিদের রচনাই ইতিহাসের অসামান্য দলিল হিসেবে স্বীকৃত। জাতির পিতার বইগুলো তার সঙ্গে উল্লেখযোগ্য সংযোজন। বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায় প্রকাশিত বিপ্লবের লেখাগুলো গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে, এটি আমার কাছে অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। লেখাগুলোতে বাংলাদেশের রাজনীতির কিছু চিত্র তুলে ধরেছে বিপ্লব যা পাঠকের কাছে রাজনৈতিক প্রবন্ধ-পাঠের নতুন অভিজ্ঞতা হিসেবে গণ্য হবে। বিপ্লবের মতো সব রাজনৈতিক কর্মীরা সমাজ ও রাজনীতি নিয়ে নিয়মিত লিখবে, এ আমার প্রত্যাশা।

বইটির মুখবন্ধ লেখা ও মোড়ক উন্মোচন করায় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিপ্লব বড়ুয়া। বইটির প্রকাশক ও উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।