০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ইইউর চূড়ান্ত প্রতিবেদন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ১১:৪৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪
  • ৯৯ দেখেছেন

বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কারিগরি দল। ৩৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে জোটের মতামতের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি পরিবর্তনে ২১টি সুপারিশও করেছে ২৭ দেশের এই জোট। শুক্রবার (০৮ মার্চ) এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।

ইইউর ইলেকশন অবজারভেশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি সাপোর্টের (ইওডিএস) ওয়েবসাইটে ৩৩ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে তারা বলেছে, বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ ছিল না। এ সময় একদিকে যেমন নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার ছিল না, অন্যদিকে আন্দোলন করার অবাধ সুযোগও সীমিত করা হয়েছে। গণগ্রেপ্তারের কারনে বিরোধি দল ব্যস্ত ছিল আদালত পাড়ায়। রাজনৈতিক দলগুলোর আসন ভাগাভাগি চুক্তি এবং আওয়ামী লীগের নিজস্ব প্রার্থী ও দলের সঙ্গে যুক্ত ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের’ মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে ভোটারদের পছন্দ মতন প্রার্থীকে ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না।

ইইউ কারিগরি দল বলছে, নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য করতে ব্যর্থ হয়েছে ইসি। যদিও তাদের যথেষ্ট সক্ষমতা ছিল। তবে নির্বাচনে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকও ছিলেন না। কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যালট ব্যাক্স চুরির অভিযোগ ছাড়াও মিলেছে বিচ্ছিন্ন সহিংসতার খবর।

নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ইইউ প্রাক নির্বাচনি মিশন বাংলাদেশ সফরে এসে সার্বিক পরিবেশ নিয়ে প্রায় শতাধিক বৈঠক করে। তবে নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই ইইউ জানায় তারা নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ করতে আসছে না, কারণ পর্যবেক্ষণের যথাযথ পরিবেশ নেই, সঙ্গে আছে টাকার অভাবও।

শেষ পর্যন্ত ঢাকায় এসেছিলেন চার সদস্যের ইইউ কারিগরি দল। নির্বাচনের আগে থেকে নির্বাচনের পর পর্যন্ত, তারা প্রায় দুই মাসের মতো ছিলেন বাংলাদেশে। নির্বাচন নিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণের প্রতিবেদন জমা দিলো ২৭ দেশের এই জোট। প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইইউ কারিগরি মিশন সুষ্ঠু অবাধ গ্রহণযোগ্য ও আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচনের জন্য মোট ২১টি পরামর্শ দিয়েছে। যেখানে আছে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ আরো স্বচ্ছ ও স্বাধীন করার বিষয়ও।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ইইউর চূড়ান্ত প্রতিবেদন

আপডেট : ১১:৪৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কারিগরি দল। ৩৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে জোটের মতামতের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি পরিবর্তনে ২১টি সুপারিশও করেছে ২৭ দেশের এই জোট। শুক্রবার (০৮ মার্চ) এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।

ইইউর ইলেকশন অবজারভেশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি সাপোর্টের (ইওডিএস) ওয়েবসাইটে ৩৩ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে তারা বলেছে, বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ ছিল না। এ সময় একদিকে যেমন নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার ছিল না, অন্যদিকে আন্দোলন করার অবাধ সুযোগও সীমিত করা হয়েছে। গণগ্রেপ্তারের কারনে বিরোধি দল ব্যস্ত ছিল আদালত পাড়ায়। রাজনৈতিক দলগুলোর আসন ভাগাভাগি চুক্তি এবং আওয়ামী লীগের নিজস্ব প্রার্থী ও দলের সঙ্গে যুক্ত ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের’ মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে ভোটারদের পছন্দ মতন প্রার্থীকে ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না।

ইইউ কারিগরি দল বলছে, নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য করতে ব্যর্থ হয়েছে ইসি। যদিও তাদের যথেষ্ট সক্ষমতা ছিল। তবে নির্বাচনে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকও ছিলেন না। কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যালট ব্যাক্স চুরির অভিযোগ ছাড়াও মিলেছে বিচ্ছিন্ন সহিংসতার খবর।

নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ইইউ প্রাক নির্বাচনি মিশন বাংলাদেশ সফরে এসে সার্বিক পরিবেশ নিয়ে প্রায় শতাধিক বৈঠক করে। তবে নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই ইইউ জানায় তারা নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ করতে আসছে না, কারণ পর্যবেক্ষণের যথাযথ পরিবেশ নেই, সঙ্গে আছে টাকার অভাবও।

শেষ পর্যন্ত ঢাকায় এসেছিলেন চার সদস্যের ইইউ কারিগরি দল। নির্বাচনের আগে থেকে নির্বাচনের পর পর্যন্ত, তারা প্রায় দুই মাসের মতো ছিলেন বাংলাদেশে। নির্বাচন নিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণের প্রতিবেদন জমা দিলো ২৭ দেশের এই জোট। প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইইউ কারিগরি মিশন সুষ্ঠু অবাধ গ্রহণযোগ্য ও আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচনের জন্য মোট ২১টি পরামর্শ দিয়েছে। যেখানে আছে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ আরো স্বচ্ছ ও স্বাধীন করার বিষয়ও।