অস্ত্রধারী হামাসের মুখোমুখি হলে মানুষ বাঁচার জন্য কত ধরনের আকুতিই না করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেসব আকুতিতে কোনো কাজ হয় না। তবে এদিক থেকে ভাগ্যবান ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধা এস্তার কুনিও। অস্ত্রের মুখে মেসির নাম বলে হামাসের অস্ত্রধারী অপহরণকারীর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, মেসির দেশের মানুষ পরিচয় দেওয়ায় পর হামাসেরদল সেলফিও তুলেছেন এস্তারের সঙ্গে।
ঘটনা গত বছরের ৭ অক্টোবর সকালের। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব চলাকালে ইসরায়েলের কিজবুত নির ওজে ভয়ংকর অপহরণের মুখে পড়েছিল এস্তারের পরিবার। হামাসের কয়েকজন অনুপ্রবেশকারী অস্ত্রের মুখে এস্তারসহ তাঁর পরিবারের ৮ সদস্যকে গাজায় অপহরণ করে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। সেখানে নিজের আর্জেন্টাইন পরিচয় বোঝাতে মেসির নাম উচ্চারণ করেন এস্তার, তাতেই বেঁচে যান তিনি। তবে হামাসের সৈন্যরা ধরে নিয়ে যায় তাঁর নাতি-নাতনিদের।
সংবাদমাধ্যম ফুয়েন্তে লাতিনোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনায় এস্তার কুনিও বলেছেন, ‘তাকে (অস্ত্রধারী) বলেছিলাম, আমি আর্জেন্টাইন ও স্প্যানিশে কথা বলতে পারি। আমি তার ভাষা বুঝতে পারিনি। সে আরবিতে কথা বলছিল এবং আমি হিব্রুতে একেবারেই কাঁচা। যখন বললাম, আমি আর্জেন্টাইন স্প্যানিশে কথা বলি, তখন সে জিজ্ঞেস করল, আর্জেন্টিনা কী।’
এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েই বেঁচে যান এস্তার, ‘তখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি ফুটবল খেলা দেখো? সে বলল, সে ফুটবল পছন্দ করে। এরপর আমি তাকে বললাম, আমি মেসির দেশের মানুষ। তখন সে অবাক হয়ে যায় এবং আমাকে বলে, সে মেসিকে ভালোবাসে। এরপর সে তার হাত আমার কাঁধে রাখে, আমাকে তার বন্দুক দেয়। এরপর শান্তির সাইন (ভি) দেখিয়ে আমার সঙ্গে ছবি তোলে।’
মেসির নাম বলে এস্তার রক্ষা পেলেও তাঁর নাতি-নাতনিদের অপহরণ করে গাজায় নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। তাঁদের ফিরে পেতে মেসির হস্তক্ষেপ আশা করছেন এস্টার, ‘যদি তিনি (মেসি) জানেন যে, আমি তাঁর নাম বলে রক্ষা পেয়েছি, এখন আমি ওখানে (গাজায়) আটকে থাকা আমার নাতি-নাতনিদের রক্ষার জন্য একই কথা বলব। আমি তাঁকে বলব, দয়া করে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন। কারণ তারা আমার কাছে সোনার মতো মূল্যবান।’